৪ ফুটের প্রতিমায় পুজো, অঞ্জলির বুকিং অনলাইনে (ভিনরাজ্যের পুজো)

নিউজ ব্যুরো :: সংবাদ প্রবাহ :: মুম্বাই ::  ২০১৯ সালে প্রতিমার উচ্চতা ছিল ১২ ফুট। কিন্তু সরকারি নির্দেশিকায় এবছর তা কমে হয়েছে মাত্র ৪ ফুট। কোভিডের জেরে এমনই অবস্থা পুনের বানের এলাকার আগমনি প্রবাসী সঙ্ঘ, নবি মুম্বই বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের দুর্গোপুজোর। তবে অঞ্জলির ক্ষেত্রে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। আগমনি প্রবাসী সঙ্ঘের ভাইস প্রেসিডেন্ট সন্দীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, অঞ্জলি দিতে গেলে স্লট বুক করতে হবে। অনলাইনে। প্রতিটি স্লটে আধঘণ্টা অন্তর সর্বাধিক ৫০ জন করে অঞ্জলি দিতে পারবেন।

এর ফলে ভিড় এড়ানো এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে। গত চারবছর ধরে ধুমধাম করে এই পুজো হচ্ছে। কিন্তু এবারে চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বাংলা থেকে মাত্র দু’জন ঢাকিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রোটোকল মেনে রাখা হয়নি কোনও থিমও। তবে মণ্ডপে প্রবেশাধিকার থাকছে ৪০০ জন সদস্যেরই। সিঁদুর খেলাতেও শুধুমাত্র তাঁরা থাকতে পারবেন। তবে তাঁদের মণ্ডপে সিঁদুর খেলা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন নবি মুম্বই বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের ট্রাস্টি চেয়ারম্যান পদে থাকা অরূপ সরকার।
বেঙ্গালুরুর পুজোতেও এবার বাদ সিঁদুর খেলা।

আবাসন এবং সর্বজনীন মিলিয়ে মোট ৪৯টি পুজোর ক্ষেত্রেই এই নিয়ম বলবৎ থাকছে। দক্ষিণের এই ‘টেক সিটি’তে যত পুজো হয়, তার সবক’টির দায়িত্বেই বঙ্গীয় সমাজ বেঙ্গালুরু। এই সংগঠনের মাধ্যমে পুজো কমিটিগুলি একত্রে প্রশাসনের কাছে সমস্ত অনুমতি জানায়। প্রশাসনিক স্তরে ভাষাগত সমস্যা এড়াতেই এই সিঙ্গেল উইন্ডোর ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন বঙ্গীয় সমাজ বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল জেনারেল সেক্রেটারি সন্দীপ সোম।

কোভিড পরিস্থিতিতে ঘুরতে যাওয়া প্রায় বন্ধ। তা মাথায় রেখেই এবার ডেস্টিনেশন পুজোর আয়োজন করেছে হোয়াইট ফিল্ড কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। কুর্গ এলাকায় একটি রিসর্ট ভাড়া করে সেখানেই পুজো হবে। ঘোরা আর পুজো, দু’টোর আনন্দই উপভোগ করতে পারবেন পুজো কমিটির সদস্য ও তাঁদের পরিবার। অন্যদিকে, বাংলার গ্রাম এবং কর্ণাটক সংস্কৃতির মেলবন্ধনে পুজোর আয়োজন করছে বর্ষা অ্যাসোসিয়েশন। আরডি নগর দুর্গাপুজো কমিটির এবারের থিম টোরাকোটার মণ্ডপ।

কোভিডের জেরে এবছর সিঁদুর খেলা বাতিল করেছে বেদাঙ্গ সম্মিলনীও। সেকেন্দ্রাবাদের মিলিটারি ডেয়ারি ফার্ম রোডের এই পুজো পা দিচ্ছে ৭ বছরে। মণ্ডপে অঞ্জলি দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও, দূরত্ববিধি মানা আবশ্যক। প্রবীণদের জন্য অবশ্য ব্যবস্থা করা হয়েছে অনলাইনে। যাতে তাঁদের মণ্ডপে আসতে না হয়। পুজো কমিটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভোগ বসে খেতে চাইলে দূরত্ববিধি মানতেই হবে। রয়েছে প্যাকেট ভোগের বন্দোবস্তও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + twenty =