আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: সংবাদপ্রবাহ টিভি ডট কম :: ১৫ই,জানুয়ারি ::নয়াদিল্লি ::
কোভিড–১৯ রোগের টিকা হিসেবে অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা টিকাও মজুত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর্যায়ে থাকা নোভাভ্যাক্স নামের টিকা মজুতের ক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী এপ্রিল মাস থেকে উৎপাদনের পর এই টিকা মজুত করা শুরু করবে সেরাম।
ওষুধ প্রস্তুতকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠান নোভাভ্যাক্স। শিগগিরই তাদের টিকার পরীক্ষামূলক তথ্য প্রকাশ করার কথা রয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকাও উৎপাদন করছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল এক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন আদর পুনাওয়ালা। রয়টার্স নেক্সট নামের ওই সম্মেলনে তিনি বলেছেন, আগামী এপ্রিল মাস থেকে নোভাভ্যাক্স টিকা মজুত করা হবে। প্রতি মাসে ৪ থেকে ৫ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের চেষ্টা করবে সেরাম।
খবরে বলা হয়েছে, ভারতের বিশেষজ্ঞ প্যানেল নোভাভ্যাক্স টিকার দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার অভ্যন্তরীণ তথ্য চেয়েছিল। ভারতে এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগেই নোভাভ্যাক্স টিকা মজুত করার পরিকল্পনা জানিয়ে দিল সেরাম ইনস্টিটিউট।
গত আগস্টে পুনে ভিত্তিক সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে নোভাভ্যাক্স। ওই সময় ন্যূনতম ১০০ কোটি ডোজ টিকা তৈরির কথা হয়েছিল। মূলত টিকার চূড়ান্ত অনুমোদনের পর তা নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশ এবং ভারতে সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহের জন্যই সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছিল নোভাভ্যাক্স। এই টিকা এখন চূড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাঝামাঝি পর্যায়ে আছে। প্রাথমিক ধাপের পরীক্ষায় দেখা গেছে যে গ্রহণকারীর দেহে এই টিকা যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনার টিকাও উৎপাদন করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। এই টিকা ভারতে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনও পেয়ে গেছে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্য অক্সফোর্ডের টিকাকে মানবদেহে জরুরি প্রয়োগের জন্য নিরাপদ বলে ঘোষণা করেছে।