নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: অশোকনগর :: কয়েকদিন আগেই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নার্সিং ট্রেনিং এর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছিলেন। ঘোষণা করেছিলেন কয়েকটি নার্সিং ট্রেনিং স্কুল খোলার কথাও। এবার সেই কথাই রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। বেকারদের জন্য আরও একবার খুলে দিলেন চাকরির দিশা। এদিন মধ্যমগ্রামে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের নবনির্মিত ভবনের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খুশির হাওয়া অশোকনগর জুড়ে।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের নার্সিং ট্রেনিং স্কুলকে। স্কুলের ভেতরে উন্নত মানের বেশ কয়েকটি ক্লাস রুম তৈরি করা হচ্ছে। তৈরি করা হবে বিভিন্ন প্র্যাকটিক্যাল রুমও। যেখানে নার্সিং ছাত্ররা শিখবেন একজন রোগীকে কিভাবে সেবা করে দ্রুত সুস্থ করে তোলা যায়। ছাত্রদের থাকার জন্য হোস্টেলের ব্যবস্থা করা হবে নবনির্মিত ভবনে বলে জানা গিয়েছে।
বর্তমানে হাসপাতালেই দোতলায় চলছে নার্সিং ট্রেনিং এর ক্লাস। সেখানেই হাতে-কলমে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা শিক্ষা দেওয়া হয়ে ছাত্রদের। তবে ছাত্র সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় জায়গার সংকুলান তৈরি হচ্ছে বলে নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের তরফ থেকে জানানো হয়। নবনির্মিত এই ভবনের নার্সিং ট্রেনিং স্কুল শুরু হলে সুবিধা হবে ছাত্রদের। বর্তমানে ছাত্র সংখ্যা ১৫৩ জন।
তবে এখনো প্রথম বর্ষের নতুন ছাত্ররা আসেননি বলে জানা যায় নার্সিং ট্রেনিং স্কুল সূত্রে। তৃতীয় বর্ষের ছাত্ররাও ট্রেনিং কমপ্লিট করেছে ইতিমধ্যেই। এরপর তাদের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে নিযুক্ত করা হবে বলে জানা যায়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে নবনির্মিত ভবনের কাজ। যা শেষ হতে আরো বেশ কিছুটা সময় লাগবে বলে জানান বিল্ডিং তৈরি দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। ইতিমধ্যেই হাসপাতাল চত্বরে বসেছে অক্সিজেন প্লান্ট।
যদিও অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল বর্তমানে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে। করোনাকালে বিপুল সংখ্যক মানুষের চাপ সামলেছে এই হাসপাতাল। নার্সিং ট্রেনিং স্কুলে বর্তমানে প্রায় ১৫ জন নার্সিং ট্রেনিং শিক্ষিকা রয়েছেন। ছাত্রদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও। কবে এই নবনির্মিত বিল্ডিংয়ের ক্লাস শুরু করতে পারবে ছাত্ররা এখন সেদিকেই তাকিয়ে অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নার্সিং স্কুল এর ছাত্র থেকে শিক্ষিকারা।