আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: সংবাদ প্রবাহ :: ব্যুরো নিউজ :: সোমবার ২২,সেপ্টেম্বর :: ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং মরক্কোয় দাঁড়িয়ে স্পষ্ট করে বলেছেন—পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK) একদিন না একদিন স্বতঃস্ফূর্তভাবেই ভারতের সঙ্গে মিলিত হবে।
এ বক্তব্য শুধু ভারতের অবস্থান নয়, ইতিহাস ও ভূগোলের বাস্তব সত্য। কিন্তু প্রত্যাশিতভাবেই পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে বিরোধিতা করেছে। ইসলামাবাদ আবারও সেই পুরনো ভাঙা রেকর্ড বাজাতে শুরু করেছে—“কাশ্মীর নিয়ে ভারত একতরফা দাবি করছে, আমরা তা মানি না।”কিন্তু পাকিস্তানের এই আপত্তি আসলে এক অচল গৎ। যে ভূখণ্ডে তারা দখলদার সেনা বসিয়েছে, সেখানকার মানুষের মৌলিক অধিকার পর্যন্ত নেই। সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি বানানো হয়েছে, রাজনৈতিক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে, আর্থিকভাবে পুরো অঞ্চলকে শোষণ করা হয়েছে। অথচ আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তান “কাশ্মীরের আত্মনিয়ন্ত্রণ” নিয়ে কুম্ভীরাশ্রু ফেলে।
ভারতের বক্তব্যে পাকিস্তান এত অস্বস্তি বোধ করছে কেন? কারণ তারা জানে, সময় তাদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। পাকিস্তানের অর্থনীতি আজ ধ্বংসের মুখে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ভঙ্গুর, সেনাবাহিনীর ভেতরেও বিভাজন।
তার ওপর পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ আজ পাকিস্তানের শাসনকে অভিশাপ বলেই দেখছে। তাই রাজনাথের মন্তব্য পাকিস্তানের কানে যেন বাজ পড়ার মতো লাগছে।
বাস্তবতা হলো, পাকিস্তান যতই চিৎকার করুক, আন্তর্জাতিক মহল ক্রমশ ভারতের অবস্থানকেই সমর্থন করছে। PoK-এ মানুষের ক্ষোভ, দুর্দশা ও আন্দোলন প্রমাণ করে দিচ্ছে—সেই মাটিতে পাকিস্তানের দখল দীর্ঘস্থায়ী নয়। ভারত বারবার শান্তির ডাক দিয়েছে, কিন্তু পাকিস্তান সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। এখন যদি দিল্লি আরও দৃঢ় অবস্থান নেয়, তাতে দোষ পাকিস্তানেরই।
রাজনাথের বক্তব্য পাকিস্তানকে কাঁপিয়ে দিয়েছে, কারণ এটি শুধু কূটনৈতিক ঘোষণা নয়—একটি অটল সংকল্পের প্রতিধ্বনি। পাকিস্তানের উচিত এখনো সময় থাকতে নিজের ভেতরে তাকানো, কাশ্মীরের মানুষকে মুক্তি দেওয়া এবং স্বীকার করা যে সত্যিকে দমিয়ে রাখা যায় না।
ভারতের কাছে PoK কেবল মানচিত্রের এক খণ্ড নয়—এটি ইতিহাসের দায়, মানুষের ন্যায়সঙ্গত দাবি এবং সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন। পাকিস্তানের বিরোধিতা যতই কড়া হোক, সত্যকে তারা কখনোই মুছে ফেলতে পারবে না