অন্ধকার ঘরে চাঁদের আলোর মত পিছিয়ে পড়া তপশিলি জাতির দিশা দপ্তরী পরিবারের কাছে এক নতুন আশার আলো।

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: মথুরাপুর :: শুক্রবার ২,মে :: বড়ই অভাবের সংসার। কোনক্রমে দিনযাপন হয়। বাবা-মা সেভাবে শিক্ষিত ছিলেন না। অন্ধকার ঘরে চাঁদের আলোর মত পিছিয়ে পড়া তপশিলি জাতির দিশা দপ্তরী পরিবারের কাছে এক নতুন আশার আলো।

এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনের মথুরাপুর কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুল থেকে মোট ৭০০ এর মধ্যে ৬১৩ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়েছে। অংক ছাড়া সাতটি বিষয়ের মধ্যে প্রতিটি বিষয়ে লেটার মার্কস পেয়েছে সে।

তার প্রাপ্ত নম্বর বাংলায় ৯৪, ইংরেজিতে ৮০, অংকে ৭৭, পদার্থ বিজ্ঞানে ৯০, জীবন বিজ্ঞানে ৮৫, ইতিহাসে ৯৪ এবং ভূগোলে ৯৩।

বাবা বিশ্বনাথ দিন মজুর এবং মা সুমিত্রা বাড়ির কাজ সামলান। দিশার বড় দুই ভাই ঐ কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাই স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। দিশাও ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চায় সে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 3 =