অন্যকে বাবা-মা দেখিয়ে ভোটার কার্ড তৈরির অভিযোগ সাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: কাকদ্বীপ :: সোমবার ২২,ডিসেম্বর :: প্রায় ১৬ বছর আগে মারা গিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১০ নম্বর বুথের বাসিন্দা ভগীরথ দাস। বর্তমান তাঁর পরিবারে স্ত্রী, দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। কিন্তু খাতায়-কলমে এখন তিনি ১২ জন সন্তানের বাবা।

নতুন খসড়া তালিকায় এদের প্রত্যেকেরই নাম রয়েছে।ভগীরথ বাবুর এপিক নম্বর ব্যবহার করে আরও সাতটি ভোটার কার্ড তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এসআইআরের কাজ শুরু হতেই এই তথ্য উঠে এসেছে। আর এই খবর জানাজানি হতেই ওই পঞ্চায়েত জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।জানা গিয়েছে, ভগীরথ বাবুর তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বর্তমান তার স্ত্রী ও দুই ছেলে বাড়িতে থাকেন। এসআইআরের কাজ শুরু হতেই পরিবারের সবাই ইনিউমারেশন ফর্ম পূরণ করে বিএলও-র কাছে জমা দিয়েছেন। আর সব ফর্ম জমা হওয়ার পরই বিষয়টি সামনে আসে।

এ বিষয়ে ভগীরথ বাবুর স্ত্রী কুন্তী দাস বলেন, “বিএলও-র মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। স্বামীর এপিক নম্বর আরও ৭টি ভোটার কার্ডে ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে বাবা ও ছেলের সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। কিন্তু আমার দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। আর কোনও সন্তান নেই। বিষয়টি বিএলও-কে একটি ঘোষণা পত্র দিয়ে জানিয়েছি।”

১১০ নম্বর বুথের বিএলও বিশ্বজিৎ মাইতি বলেন, “ফর্ম গুলি অ্যাপের মাধ্যমে ডাউনলোড করার সময় এই বিষয়টি সামনে আসে। ভগীরথ দাস ও কুন্তী দাসকে বাবা ও মা দেখিয়ে নয়টি ইনিউমারেশন ফর্ম জমা করা হয়েছিল। সব ফর্ম গুলিতে একই এপিক নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে বয়সের গরমিল ছিল।

এরপরই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ভগীরথ দাসের তিন মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। কিন্তু বাকি সাত জন তাঁদের সন্তান নয়। এই তদন্ত রিপোর্ট কমিশনের কাছে জমা করা হয়েছে।”

কাকদ্বীপের মহকুমা শাসক প্রীতম সাহা বলেন, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী ওই সাত জনকে হেয়ারিংয়ে ডাকা হবে। সেখানে সব নথিপত্র দেখার পর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + 7 =