নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: চুঁচুড়া :: শনিবার ২২,ফেব্রুয়ারি :: বেশ কয়েকদিন আগেই চুঁচুড়ায় গলব্লাডার অপারেশন করতে গিয়ে ডাক্তারের ভুলে কাটা গিয়েছিল মলের নলী , দিশেহারা হয়ে গিয়ে কলকাতার বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় সঙ্গীতাকে, সেখানে চিকিৎসার পর বিল হয়ে যায় ২৩ লক্ষ টাকা ,
সঙ্গীতার গলব্লাডারে পাথর হয়েছিল,ল্যাপারোস্কপি করে সেই পাথর বের করেতে গিয়েই হয়ে যায় বিপত্তি! নার্সিংহোম সরকারি হাসপাতাল ঘুরে কলকাতার বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসায় তেইশ লাখ খরচের বিল মেটাতে গয়না বন্দক দিয়ে চিকিৎসার খরচ কিছুটা দিতে পারলেও, পুরো টাকা মেটাতে না পারায় রোগির ছুটি নিয়ে সংশয় তৈরী হয়,
চুঁচুড়ার সাহাগঞ্জ পাত্র পুকুরের বাসিন্দা সঙ্গীতা রাউত(৪৬)। শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালের একজন গ্রুপ ডি স্বাস্থ্য কর্মি। তার গলব্লাডারে পাথর ধরা পড়ে গত বছর অক্টোবর মাসে।স্থানীয় চিকিৎসককে দেখিয়ে পরীক্ষা করান। অস্ত্রোপচার করাতে হবে জানান ওই চিকিৎসক।এরপর চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের শল্য চিকিৎসকের কাছে রোগিকে নিয়ে যায় তার পরিবার।
চিকিৎসক তাকে চুঁচুড়ার একটি বেসরকারী নার্সিংহোমে ল্যাপারোস্কপি করেন গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪।পাথর বেরিয়ে গেলে ১ লা জানুয়ারী ছুটি দিয়ে দেন।বাড়ি গিয়ে সমস্যা দেখা দেয়।এরপর আবার চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রোগির পরিবার।চিকিৎসক তাদের জানান অস্ত্রপচারের পর এরকম হতে পারে।সেলাই কাটার পর ঠিক হয়ে যাবে।
চিকিৎসক আবার নার্সিংহোমে ভর্তি হতে বলেন।নার্সিংহোম জানিয়ে দেয় তাদের সেই পরিকাঠামো নেই। তাই আবারও চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি।সেখানে যখন কিছুই হচ্ছে না রোগির অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। হাসপাতাল তাকে কলকাতা রেফার করে।
সঙ্গীতার ছেলে অনিকেত বলেন,এরপর মাকে নিয়ে আনন্দপুরে একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করি।আমি বেসরকারী একটি সংস্থায় কাজ করি।সেখানে সাড়ে চার লক্ষ টাকার মেডিক্লেম করা আছে।হাসপাতালে সেটা জানালে তারা বলে এতে হবে হয়ত আরো কিছু টাকা লাগতে পারে।
সেখানে চিকিৎসা চলতে থাকে।মেডিক্লেমের টাকা শেষ হওয়ার পরেও আরো ৭ লক্ষ টাকা আমরা হাসপাতালে জমা দিই।কুড়ি দিনে ২২ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা বিল হয়েছে।নিজেদের পরিবারের আত্মীয়-স্বজনের গয়না বন্দক দিয়ে টাকা জোগাড় করেছি।কিন্তু এর থেকে বেশি টাকা আমরা দিতে পারিনি ,
অবশেষে দিশেহারা হয়ে গিয়ে সংগীতার ছেলে ও স্বামী মুখ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য দপ্তর এবং হুগলি জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরের চিঠি দিয়ে তাদের সমস্যার কথা জানান।
যেই কথা সেই কাজ অবশেষে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে পৌঁছায় , এবং সেখান থেকেই অফিসিয়াল ভাবে হাসপাতালকে নির্দেশ দেওয়া হয় সঙ্গীতা রাউত এর ডিসচার্জের ব্যবস্থা করতে হবে, অবশেষে আজ শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে কলকাতা থেকে চুঁচুড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি ফেরানো হলো সংগীতাকে