সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: কুলপি :: বৃহস্পতিবার ৩১,জুলাই :: ভোরের আলো ফুটতে পুকুরে হুলুষ থুলুস কান্ড। গোটাপুকুর জাল দিয়ে ঘিরে ফেলে বন কর্মীরা এলাকাবাসীরা পুকুরের চারদিকে ভিড় জমায়। বন কর্মীরা পুকুরে নেমে জাল লিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ধরে ফেলে দৈত্যাকার কুমির। কুমির দেখতে ভিড় এলাকাবাসীদের।
কুমিরটির দৈর্ঘ্য আনুমানিক ৫ থেকে ৬ ফুট। প্রসঙ্গত, গতকাল বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি থানার অন্তর্গত রাধানগর গ্রামে রামকিশোর গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে গোপাল হালদারের পুকুরে একটি দৈত্যাকার কুমির হুগলি নদী থেকে চলে আসে।
এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় কুমির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেয়া হয় কুলপি থানাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কুলপি থানার পুলিশ। এছাড়াও কুমিরটিকে ধরতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উস্তি বনদপ্তরের বন কর্মীরা। মঙ্গলবার রাতে বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে কুমিরটিকে জাল বন্দি করার চেষ্টা চালালেও সেই চেষ্টা বিফলে চলে যায়। অবশেষে সকালের অপেক্ষায় ফিরে যায় বন কর্মীরা।
বুধবার সকালে গোপাল হালদারের পুকুর থেকে কুমিরটি প্রতিবেশী এক ব্যক্তির পুকুরে চলে যায়। এরপর সকাল হতেই রামগঙ্গা বনদপ্তরের বনকর্মীরা ও উস্তি বনদপ্তরের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং কুমিরটিকে ধরার জন্য গোটা পুকুরে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলে।
এরপর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কুমিরটিকে ধরার জন্য প্রচেষ্টা চালায় বনকর্মীরা অবশেষে সফল হয় বনকর্মীরা। কুমিরটি ধরা পড়াতে কার্যত আতঙ্ক মুক্ত হলো গোটা এলাকার মানুষজনেরা।