অভয়ার মায়ের আঘাতের জন্য কে দায়ী পুলিশ !!!

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ ::কলকাতা :: রবিবার ১০,আগস্ট :: আরজি করের ধর্ষণ এবং খুনের এক বছরের মাথায় শনিবার ‘নবান্ন অভিযান’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি। যদিও এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক আহ্বান ছিল নির্যাতিতার বাবা-মায়ের তরফে। কর্মসূচির শুরু থেকেই ছিল উত্তেজনা।

ধর্মতলা থেকে রওনা দেওয়া ওই মিছিলে ছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা। তাঁদের সঙ্গে প্রথমে ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, জোয়েল মুর্মু, আশিস বিশ্বাসেরা। পরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, শঙ্কর ঘোষ, সুব্রত ঠাকুর, অশোক দিন্দা, নীলাদ্রিশেখর দানা-সহ বিজেপি বিধায়কেরা মিছিলে যোগ দেন।

জওহরলাল নেহরু রোডের উড়ালপুলের রেম্পেও পুলিশ মোতায়েন ছিল, যাতে মিছিল উড়ালপুলে উঠতে না পারে। উড়ালপুলের ডান পাশের রাস্তা ধরে মিছিল এগোতে থাকে। পার্ক স্ট্রিট মোড়ের কয়েকশো মিটার আগেই বড় ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা আটকে দিয়েছিল পুলিশ।

জনা দশেক বিজেপি কর্মী মিছিলের আগে ছুটে গিয়ে প্রথমে ব্যারিকেডে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। পিছনের মিছিল ব্যারিকেড পর্যন্ত পৌঁছলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হবে বুঝে পুলিশও তৎপরতা বাড়াতে শুরু করে।

এই হট্টগোলের মাঝে তাঁকে মারধরের অভিযোগ করেন নির্যাতিতার মা। তিনি জানান, তাঁর কপালে এবং পিঠে চোট লেগেছে। তিনি আঙুল তোলেন পুলিশের দিকে।

অভিযোগ, পার্ক স্ট্রিটে প্রতিবাদীদের আন্দোলন দমনের নামে পুলিশের লাঠির আঘাত লেগেছে তাঁর মাথায়। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে তাঁকে। অভয়ার মায়ের এই আহত হওয়ার নেপথ্যে অবশ্য শুধুমাত্র পুলিশকে নয়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করলেন অভয়া মঞ্চের সদস্যরা।

তাঁদের যুক্তি একটাই, দায়িত্ব নিয়ে অভয়ার মা-বাবাকে আন্দোলনে নিয়ে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। তাই তাঁদের সুরক্ষার ভার ছিল তাঁরও।

রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য রাজনৈতিক পতাকা সরিয়ে রেখে এই অভিযানে শামিল হওয়ার জন্য সকলের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু শনিবার অভয়ার বিচারের দাবিতে শহরজুড়ে বিভিন্ন জমায়েতের কোথাও তাঁকে দেখা যায়নি।

দেখা যায়নি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষদেরও। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গুটিকয়েক অনুগামী নিয়ে পার্ক স্ট্রিটের জমায়েতে রীতিমতো নেতৃত্ব দিয়েছেন। জড়িয়েছে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলায়। তবে কি এই আন্দোলন নিয়ে নিজের দলেই কোনঠাসা বিরোধী দলনেতা ??

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + 20 =