অভাবের তাড়নায় দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে ১৮ দিনের সদ্যোজাত শিশুকে এক মারওয়াড়ি ব্যবসায়ী দম্পতির কাছে বিক্রির অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: বুধবার ২২,নভেম্বর ::   চাঁদা তুলে অভাবি মায়ের পাশে দাঁড়ালো সিডিপিও এবং সুপারভাইজার। অভাবের তাড়নায় দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে ১৮ দিনের সদ্যোজাত শিশুকে এক মারওয়াড়ি ব্যবসায়ী দম্পতির কাছে বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল মায়ের বিরুদ্ধে। যদিও সেই খবর জানাজানি হতেই মাড়ওয়ারী দম্পতির কাছ থেকে শিশুকে মায়ের কাছে এনে দেন স্থানীয়রা।
বিক্রির অভিযোগ নিজের মুখে স্বীকার করে নিয়েছিলেন মা। জানিয়ে ছিলেন সংসার অত্যন্ত অভাবের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলেন।সেই খবর সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত হতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। খবরের জেরে গতকাল অভাবি মায়ের পাশে এসে দাড়িয়েছিল ব্লক প্রশাসন। এবার পাশে দাঁড়ালো অঙ্গনওয়াড়ি দফতরের প্রতিনিধি দল।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত পিপলার বাসিন্দা লক্ষ্মী দাস চলতি মাসের ১ তারিখ একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। লক্ষ্মীর স্বামী ভিন রাজ্যের কর্মরত। বাড়িতে রয়েছে আরও এক বছরের এক পুত্র সন্তান। নিয়মিত বাড়িতে টাকা পাঠান না লক্ষ্মীর স্বামী। অভাব অনটনের সংসার। খিদের জ্বালায় সদ্যজাত সন্তানকে স্থানীয় বিনোদ আগরওয়াল নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেন লক্ষী।
স্থানীয়দের কাছে জানাজানি হলে বাচ্চাকে আবার মায়ের কাছে ফেরত এনে দেওয়া হয়।সেই খবর সম্প্রচারিত হয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে।গতকাল অভাবে মায়ের পাশে দাঁড়ান বিডিও।আর আজ মঙ্গলবার চাঁদা তুলে অঙ্গনওয়াড়ির সিডিপিও আব্দুল সাত্তার, সুপারভাইজার রুমি মন্ডল এবং আরেক সুপারভাইজার সাংমু ভুটিয়া ওই পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী এবং শীতবস্ত্র তুলে দেন।
যেহেতু লক্ষ্মী দাস এখনো নাবালিকা। তাই অঙ্গনওয়াড়ি দপ্তর থেকে সরকারি ভাবে তাকে সাহায্য করা সম্ভব নয়। তবে তার পরিবারের অবস্থা দেখে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন সিডিপিও। কিভাবে কতটা সাহায্য করা যায়।আজ লক্ষ্মী দাস ছিলেন না।উনার মায়ের কাছেই সবটা শুনলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − two =