নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হুগলি :: বৃহস্পতিবার ২২,আগস্ট :: আক্ষরিক অর্থেই একেবারে দরিদ্র পরিবারের সন্তান জয়ন্ত। কিন্তু মাথা খুব পরিষ্কার। প্রবল জেদ। আর তার উপর ভরসা করেই একদিন পৌঁছে গেছিলেন কেসিবির মঞ্চে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করার পর তিনি একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পড়ান তিনি।
জয়ন্ত বলেন, “ছোট থেকেই আমার কেসিবিতে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি তার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। প্রথম থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল এই রকম মঞ্চ পেলে সেখানে আমার গ্রামের সমস্যার কথা তুলে ধরবো। গ্রামবাসীদের সচেতনতার অভাব রয়েছ তা বলার চেষ্টা করেছি।
গ্রামের সম্যাসার পাশাপাশি পরিবারের স্নানাগার নেই তাও বলেছি। তা শুনে অমিতাভ স্যার বলেছেন আমি টাকা জিতি বা না জিতি তিনি বাড়িতে স্নানাগার তৈরি করে দেবেন।” এটা তার কাছে একটা বড়ো প্রাপ্তি।
তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ৭ থেকে ৮ বছর ধরে নিজেকে তৈরি করেন তিনি। অবশেষে পৌঁছন স্বপ্নের মঞ্চে। একের পর প্রশ্নের জবাব দিয়ে জেতেন ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া সেই মঞ্চেই তুলে ধরেন গ্রামের দুরাবস্থার কথা। জানান পুকুরের জল ব্যবহার করে গ্রামের মানুষেরা। শৌচালয় থাকলেও এখনও গ্রামের বহু মানুষ অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারেননি।
নিজের পরিবারের ক্ষেত্রেও দেখেন তাঁর মা ও বোন বাড়ির পাশে পুকুরেই স্নান করছেন। এই সমস্ত বর্ণনা করেন তিনি বিগ বির কাছে। জানান, তাঁর বাড়িতে শৌচালয় রয়েছে, কিন্তু কোনও স্নানাগার নেই। ফলে মা-বোন ও পুকুরেই সকলের সামনেই স্নান করে।