নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: নয়াদিল্লি :: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার মধ্যে ছয় কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে এই গ্রাম তৈরি করেছে চিন সেনা। সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্রে সেই গ্রামের ছবি ধরা পড়ছে বলে দাবি এক সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলের।এদিন দু’টি উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করেছে ওই টেলিভিশন চ্যানেল। প্রথমটি এই বছরের সেপ্টেম্বরের মাসের। আর দ্বিতীয়টি ২০১৯ সালে মার্চ মাসের। তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে ছবিতে জনবসতির কোনও চিহ্ন নেই। কিন্তু দু’মাস আগের ছবিতে স্পষ্ট হচ্ছে ঘরবাড়ির ছবি।
শি ইয়োমি জেলায় সদ্য গড়ে ওঠে এই গ্রামের ৯৩ কিলোমিটার পশ্চিমে চিনের একটি জনপদ রয়েছে। যদিও চিন সেনার এই গ্রাম তৈরির কথা রাত পর্যন্ত স্বীকার করেনি অরুণাচল প্রদেশ সরকার ও ভারতীয় সেনা। তবে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, এই গ্রামের অবস্থান প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খানিক উত্তর দিকে। একই সঙ্গে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও ভারতীয় সেনা সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল দাবি করেছিল, উত্তর-পূর্বে অরুণাচল প্রদেশে ধীরে ধীরে থাবা বসাচ্ছে লালফৌজ। এই বছরের জানুয়ারি মাসে রাজ্যের উত্তর সুবনসিরি জেলায় চিনা অনুপ্রবেশের অভিযোগ করা হয়েছিল। ওই টেলিভিশন চ্যানেল তাদের রিপোর্টে দাবি করেছিল, ভারতীয় ভূখণ্ডের চার কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে এসে তাসরি চু নদীর তীরে গ্রাম তৈরি করেছে চিন।
সেই সময় প্রকাশিত এক উপগ্রহ চিত্রকে প্রকাশ্যে এনে, ওই চ্যানেল দাবি করেছিল ওই এলাকায় ১০০-র বেশি বাড়ি তৈরি করেছে চিন সেনা। এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেছিলেন অরুণাচলের বিজেপি সাংসদও। পরবর্তী সময় লোকসভার অধিবেশনে এই ব্যাপারে তিনি সরবও হয়েছিলেন।
সম্প্রতি মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের বার্ষিক রিপোর্টেও ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা জবরদখলের সেই অভিযোগের স্বীকৃতি মিলেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের বার্ষিক রিপোর্ট দেখার পরেই মুখ খুলেছিল বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রক অরুণাচল সীমান্তে চিনা জবরদখলের কথা স্বীকার করলেও, ভারতীয় সেনা এই খবর মানতে চায়নি ।
তথ্য সূত্র ও ছবি : সংবাদ প্রতিদিন