ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট ও রিটুইট। দলকে রাজ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায় । একইসঙ্গে তিনি রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন। এদিন সকালে করা টুইটে তথাগত রায় বলেছেন. সকালে টিভি খুললেই “ভগবানপুরে বিজেপি কর্মী নিহত”,”অশোকনগরে অবৈধ মদ”, “এক বালতি তাজা বোমা উদ্ধার”। “একটা কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হল”, “কোনো শিল্পপতি পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ করবেন”, এরকম খবর শোনা যায় না। সর্বব্যাপী নৈরাশ্যে ছেয়ে আছে রাজ্য।
অপর একটি টুইটে তথাগত রায় বলেছেন, বেকারী,দলবাজি,তোলাবাজি, খুনখারাপি,সংখ্যালঘু তোষণ ইত্যাদি সমস্যায় মানুষ পর্যুদস্ত হয়ে বিজেপিকে চাইছিলেন।তা সত্ত্বেও বিজেপি কেন এরকম শোচনীয় ফল করল তা নিয়ে বিশ্লেষণ প্রয়োজন। কারা এর জন্য দায়ী তাও চিহ্নিত করতে হবে। আগেই করা উচিত ছিল, এখনো হতে পারে। কিন্তু এড়িয়ে গেলে চলবে না।
পরের টুইটে তিনি বলেছেন, ৩ থেকে ৭৭”(এখন ৭০) গোছের আবোলতাবোল বুলিতে পার্টি পিছোবে, এগোবে না। অর্থ এবং নারীর চক্র থেকে দলকে টেনে বার করা অত্যাবশ্যক। দলের নবনিযুক্ত সভাপতি ও বিরোধী দলনেতা – এঁরা দুজনে নেতৃত্ব দিন। পুরোনো চক্রে ফেঁসে থাকলে এখন যে পুরভোটের প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না এরকম অবস্থাই চলবে। (তথাগত রায়ের টুইট বানান-সহ অপরিবর্তির রাখা হয়েছে)। দিন কয়েক আগে তথাগত রায় টুইট করে বলেছিলেন, ভোটে হারে ইগোর চাইতেও অনেক, অনেক বড় টাকা ও নারী।
যা নিয়ে যথেষ্ট শোরগোর পড়ে গিয়েছিল বিজেপির অন্দরমহলে। উপনির্বাচনের ফলে জন্য দিলীপ ঘোষ ছাড়াো কৈলাশ বিজয়বর্গীয়-সহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের দায়ী করেছিলেন। বলেছিলেন এঁদের জন্য লজ্জা হয়। পাল্টা দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, লজ্জা না পেয়ে দল ছাড়ুন। এর উত্তরে তথাগত রায় বলেছিলেন, নিজের থেকে তিনি দল ছাড়বেন না। এছাড়াও শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা পাওয়া গিয়েছিল তাঁর টুইটে। তৃণমূল থেকে আসা ব্যতিক্রমীদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী রয়েছেন বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।