নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: পেট্রাপোল :: বৃহস্পতিবার ৮,আগস্ট :: অশান্ত বাংলাদেশ। তার জেরে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত-বাণিজ্য থমকে গিয়েছিল সোমবারই। বৃহস্পতিবার সকালেও তা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি । দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোলের গেট এ দিনও পণ্যবাহী ট্রাকের জন্য বন্ধই রইল।
সমস্যায় পড়েছেন মুদ্রা বিনিময় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে অটো চালক, বেসরকারি বাস কর্মচারী, কুলি থেকে শুরু করে পেট্রাপোলের দিনমজুর শ্রমিকরা। বন্ধ বলা চলে যাত্রী পারাপারও। আগে বাংলাদেশী টাকার মূল্য ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত বর্তমানে সেটি ৪০ থেকে ৬০ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে।
এক মুদ্রা বিনিময় ব্যবসায়ী বাপ্পা ঘোষ বলেন, সারা বছর আমাদের বাংলাদেশে যাত্রীদের উপর নির্ভর করতে হয়। সেদিকে তাকিয়ে যাত্রী নেই বলাই চলে। কাউন্টার খুলে বসে আছি। আমরা আগেও অনেক ক্ষেত্রে দেখেছি বাংলাদেশী টাকা চেঞ্জ হয়েছে। সেদিক থেকে একটু চিন্তার বিষয় কারণ যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখছি শেখ মজিবুর রহমান ও হাসিনার ছবি সরানো হচ্ছে। তোমার যতটা সম্ভব হচ্ছে বাংলা টাকা বিক্রি করে দিচ্ছি।
এক বেসরকারি আন্তর্জাতিক বাসের কর্মী প্রদীপ হালদার জানিয়েছেন, যেহেতু যাত্রীরা আসছেন না বাস পরিষেবা বন্ধের মুখে। গতকাল কয়েকটি যাত্রী নিয়ে বাস চললেও আজ কোন বাসের চাকা গড়ায়নি। একইসঙ্গে ভোগান্তিতে কুলিরাও। তাদের বক্তব্য অভাবের সংসার তার মধ্যে এই অবস্থা। ১৫দিন ধরে বসে আছি। আমাদের সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করতে হয় আন্তর্জাতিক যাত্রীদের উপর।
এ পর্যন্ত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে পেট্রাপোলের বাণিজ্যে। তবে কবে হবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।