নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বসিরহাট :: বুধবার ২৪,জুলাই :: অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট আনতে গিয়ে রাজনৈতিক রোষে পড়তে হলো ওই ছাত্রীর মাকে।
বসিরহাটের পাটলীখানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেজিনা বিবির স্বামীর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত অফিসে তৃণমূল নেতা সেলিম মোল্লা জানিয়ে দেন পঞ্চায়েত থেকে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট নিতে গেলে নরেন্দ্র মোদির কাছে যান। আপনারা বিজেপি করেন আপনাদের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না।ওই ছাত্রীর মাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন ওই তৃণমূল নেতা।
অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী নীলাদ্রিতা ভূঁইয়ার মা, অনিমিতা ভূঁইয়ার অভিযোগ, তার মেয়ে বৃত্তি পরীক্ষা দেবেন।পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট আনতে যান মেয়েকে সঙ্গে করে। সেই সময় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর উপস্থিতিতে তৃণমূল নেতা সেলিম মোল্লা বলেন আপনারা বিজেপি করেন আপনাদের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না, প্রধানমন্ত্রী কাছে যান তিনি সার্টিফিকেট দেবেন।
এছাড়াও তাকে অভব্য ভাষায় আক্রমণ করা হয়। অবশেষে মেয়ের রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন এরপর বিডিও হাসনাবাদ এসডিও বসিরহাট সহ একাধিক প্রশাসনিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তারা।
অনিমিতা ভূঁইয়া বলেন পঞ্চায়েত অফিস জনসাধারণের জন্য। সেখানে এই ধরনের আচরণ শোভনীয় নয়।এক অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী বৃত্তি পরীক্ষা দেবে তার সঙ্গেও তৃণমূল রাজনীতি করছে।
তবে এ বিষয়ের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সেলিম মোল্লা, তিনি বলেন পঞ্চায়েত অফিস জনসাধারণের জন্য। এই ধরনের কোন হুমকি বা কথা বলা হয়নি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। পাটলীখানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অন্তঃসত্তা ছিলেন তিনি সন্তান প্রসব করেছেন সেই কারণে পঞ্চায়েতে আসতে পারেননি।
পাশাপাশি পঞ্চায়েতের রেসিডেন্সিয়াল কাগজ শেষ হয়ে গিয়েছিল পরে আসতে বলা হয়েছিল। আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ মেনে চলি জনসাধারণের জন্য পঞ্চায়েত তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।