নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: ঢাকা :: বৃহস্পতিবার ৩১,অক্টোবর :: বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধীরে ধীরে বলিষ্ঠ হচ্ছে, তা বোঝা যাচ্ছে এই সিদ্ধান্তে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট আওয়ামি লিগ জোট। আর সেই জোটকেই নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়েছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক, হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও হাসিবুল ইসলাম।
তবে একদিনের মধ্যেই সেই মামলা আর না চালানোর ঘোষণা করলেন সারজিস ও হাসনাত। একই সঙ্গে, আওয়ামি লিগের আমলে হওয়া বাংলাদেশের তিনটি নির্বাচনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা করা হয়েছিল, সেটিও আর না চালানো হবে না বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুই বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে, রিট দুটি না চালানোর কথা জানান আবেদনকারীদের আইনজীবী আহসানুল করিম। ফলে রক্ষিত হলো বাংলাদেশের গণতন্ত্র। একটা বিষয় খুবই স্পষ্ট হয়ে গেছে যদি আওয়ামি লিগ সহ ওই দলগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে দেশের ভেতরে ও বাইরে এর বড়ো প্রভাব পড়বে।
বাংলাদেশ আওয়ামি লিগ ছাড়াও, জাতীয় পার্টি, জাসদ, জাতীয় পার্টি (জেপি), তরিকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, বিকল্পধারা, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এম-এল) (দিলীপ বড়ুয়া),
বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) – এই ১১টি দল যাতে কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড না চালাতে পারে, সেই বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ চাওয়া হয়। কিন্তু পরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বাংলাদেশের মানুষ।