সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: বারুইপুর :: আগামী কাল থেকে রাজ্যে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি। সোমবার চরম প্রস্তুতির ছবি ধরা পরল স্কুলগুলিতে।যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে স্কুল সংস্কারের কাজ। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আবারো খুলছে স্কুল ,কলেজ। দেড় বছরে একাধিক দক্ষিণ ২৪ পরগনা উপকূলবর্তী এলাকায় স্কুল গুলি বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে “আম্ফান”থেকে “ইয়াসে”।
একাধিক বিপর্যযয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাগর, কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, কুলতলী ,ক্যানিং ,রায়দিঘি সহ উপকূল তীরবর্তী এলাকার বহু স্কুল। বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনে কোনও কোনও স্কুলে উড়ে গিয়েছে ছাদ। কোথাও বা স্কুলের জানলা দরজার বেহাল দশা।
স্কুলের সামনে জমেছে আগাছার জঙ্গল। স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্কুল মেরামতে কার চালানো হচ্ছে। করোনা মহামারী কালে ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছিল অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আবারো স্কুল খোলার খুশি ছাত্রছাত্রীরা থেকে অভিভাবকরা।
সপ্তাহের শুরুতে স্কুলগুলিতে চরম ব্যস্ততার ছবি ধরা পড়ল । কোন কোন স্কুলে মেরামতের কাজ চলছে। স্কুল সংস্কারের কাজে হাত লাগিয়েছে পড়ুয়ারাও। স্কুলের ক্লাস রুম থেকে স্কুল প্রাঙ্গণ সমস্ত তাই স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় ছিল পানীয় জলের কল গুলি সেগুলিও নতুন করে সংস্কার করা হচ্ছে। করণা স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে প্রতিটি বেঞ্চে দুজন করে ছাত্র-ছাত্রী বসতে পারবে। বেঞ্চের উপর স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে চক আউট (নির্দেশিকা দেয়া হচ্ছে)।
স্কুল খোলা খুশি ছাত্রছাত্রীরা ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, বহুদিন পর আবারো খুলছে স্কুল এর ফলে আমরা আনন্দিত। অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনা হলেও , স্কুলের সেই পরিবেশ পাওয়া যায় না। স্কুলের হারানো পরিবেশ ফিরে পেতে স্কুল করা অত্যন্ত আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের আমরা খুশি।
স্কুল কর্তৃপক্ষের বলেন, রাজ্য সরকারের ঘোষণার পর আমরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্কুল সংস্কারের কাজ শুরু করে দিয়েছি। স্কুল সংস্কারের কাজ প্রায় শেষের পথে। দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে প্রশাসনে আধিকারিকদের সাথে বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের আধিকারিকরা স্কুলে এসে পরিকাঠামো পরিদর্শন করে গিয়েছে।
ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্কের ব্যবস্থা থাকছে স্কুলে। স্কুলে প্রবেশ করা থেকে স্কুল ছুটি পর্যন্ত প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় স্কুল রুম স্যনিটাইজ থেকে শুরু করে ছাত্রছাত্রীদের জন্যও স্যানিটাইজার এর ব্যবস্থা করা হবে। করণা স্বাস্থ্যবিধি মেনে পঠন -পাঠন চলবে। নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে শুরু হচ্ছে স্কুল। স্কুল খোলার খবরে যেমন আনন্দিত ছাত্রছাত্রীরা তেমনই আনন্দিত শিক্ষক শিক্ষিকারাও।