নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: মঙ্গলবার ২৩,জুলাই :: বাংলার অনন্ত কালের ট্রেডিশন ছিল যে পুজো কমিটিগুলি সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তাদের সাধ্য অনুযায়ী চাঁদা তুলে পুজো করতো। কিন্তু এখন দিন বদলেছে। পুজো কমিটিগুলোকে এখন চাঁদা নয় টাকা দেয় বিভিন্ন বাণিজ্যক সংস্থা আর সরকার।
ফলে তারা অনেকেই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। গত বেশ কয়েক বছর ধরেই পুজো কমিটিগুলোকে টাকা দিয়ে আসছে রাজ্য সরকার। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। সেই জন্যই মঙ্গলবার বিকেল ৪টে নেতাজি ইন্ডোর পুজো কমিটির সঙ্গে মমতার মিটিং। প্রশ্ন উঠেছে, এবারের পুজোয় ক্লাবগুলিকে দেওয়া অনুদানের টাকা একই থাকবে নাকি তা বাড়ানো হবে?
সেদিকে তাকিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন পুজো কমিটি। গত বছর ১০ হাজার করে টাকা বাড়িয়ে দুর্গাপুজোর জন্য ক্লাবগুলিকে ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বছর প্রায় ৪৩ হাজারের মতো পুজো কমিটি এই টাকা পেয়েছিল। যদিও বড়ো পুজোগুলোর বাজেট প্রায় ৪০/৫০ লাখ টাকা। সেখানে সরকারের এই সামান্য অনুদান তাদের কাছে কিছুই না। তবুও তো পুজো কমিটিগুলো সরকারের সঙ্গে রইলো!
যেখানে সরকার বলছে যে তাদের ভাড়ার প্রায় শূন্য, সেখানে এই তেলের মাথায় তেল দেওয়া নিয়ে অনেক অভিযোগ বিরোধীদের। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই বলেছেন, সকলে যাতে ভালভাবে পুজো করতে পারেন তাই সরকার পাশে দাঁড়ায়। গতবার শুধু পুজোর অনুদানই বাড়াননি, বিদ্যুতের বিলের ক্ষেত্রেও বড় ছাড় ঘোষণা করেছিলেন।
সিইএসসি ও রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম গতবার পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুতের বিলের এক চতুর্থাংশ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। যদিও আসলে তা তারা সাধারণ মানুষের ইলেকট্রিক বিলের মাধ্যমেই তুলে নেয়। খেসারত দিতে হয় দরিদ্র মানুষকে। এবার দেখার আজ কোন চমক দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।