নিজস্ব সংবাদদাতা :: নন্দীগ্রাম :: সংবাদ প্রবাহ :: আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠলো রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভের ফেটে পড়লেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুক সাংগঠনিক জেলার নবনির্মিত চেয়ারম্যান নিযুক্ত নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা৷ তাদের দাবি তৃণমূলের চেয়ারম্যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ।
সোমবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় রাস্তার উপর আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তাদের দাবি অবিলম্বে তমলুক সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান পীযূষ কান্তি ভূঁইয়াকে বদলি করতে হবে। এবিষয়টি ব্লক কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপি৷ শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ঘিরে রীতিমতো রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে ?
যেখানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করছেন! এই বিক্ষোভের পর শুভেন্দু অধিকারীকে রাজনৈতিক ভাবে কতটা টেক্কা দিতে পারবে তৃণমূল কংগ্রেস একাধিক প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে? জানাগেছে, সোমবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুর তমলুক সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক পদে রদবদল করা হয়।
তমলুক সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি করা হয় রাজ্যের সেচমন্ত্রীর সৌমেন মহাপাত্র ও চেয়ারম্যান নিযুক্ত করে পীযূষ কান্তি ভূঁইয়াকে নিযুক্ত করেন। এরপর নাম ঘোষনা হওয়ার পর বিকেলে দলের নেতৃত্বরা সংবর্ধনা জানিয়ে মিষ্টি মুখ করায়।
তার কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই নন্দীগ্রামে বাইপাস মোড়ে নবনিযুক্ত তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান পীযূষ কান্তি ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। সাথে স্লোগান ওঠে বিজেপির দালাল পীযূষ কান্তি ভূঁইয়াকে মানছি না মানবো না। চলতে থাকে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ।পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ উঠে যায়।
নন্দীগ্রাম -১ ব্লক কমিটির তৃণমূলের সদস্য বলেন ” ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভায় আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে বিজেপির সাথে যোগাযোগ রেখেছিল। কি কারনে তাকে আবার দলের চেয়ারম্যান করা হল তা আমরা বুঝতে পারছি না। তাই আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি “।
তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তপন ব্যানার্জি বলেন ” তৃণমূল দলের একাধিক গোষ্ঠী। কেউ কাওকে মানতে চায় না। তার ফলে এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। এই দলের যে যতবেশি অর্থ রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠাতে পারবে তার স্থান উপরে। বিজেপির সাথে পীযূষ কান্তি ভূঁইয়ার কোনো সম্পর্ক ছিলো না। বিজেপি সর্ব বৃহত রাজনৈতিক দল। সেই দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছে। সেই হিংসায় এই ধরনের অভিযোগ তুলছে”।