সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ভাঙড়: :: মঙ্গলবার বসিরহাট রেঞ্জের বাগনা বিটের অন্তর্গত ঝিলা-৪ কম্পার্টমেন্টের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরার সময় চিত্ত সরকার (৪০) নামে ওই মত্স্যজীবীকে বাঘ টেনে নিয়ে যায়। রাত পর্যন্ত তাঁর দেহের সন্ধান মেলেনি।প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে ঝিলা-১ কম্পার্টমেন্টের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরার সময় অরবিন্দ বিশ্বাস নামে কুমিরমারির বাসিন্দা এক মত্স্যজীবীকে বাঘ টেনে নিয়ে গিয়েছিল।
পরে বনকর্মীরা তার দেহ উদ্ধার করেন। অন্য দিকে, সোমবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগের অন্তর্গত বেনিফেলির জঙ্গলে বাঘের হামলার গুরুতর জখম হন মত্স্যজীবী শঙ্কর সর্দার। মঙ্গলবার কুলতলির বাসিন্দা শঙ্করের হাসপাতালে মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, চিত্ত সরকারের বাড়ি গোসাবা ব্লকের লাহিড়ীপুর গ্রামপঞ্চায়েতের পরশমণি গ্রামের পূর্বপাড়ায়। মঙ্গলবার ঝিলার-৪ নম্বর জঙ্গলের ভাইজোড়া খালের কাছে নেমে কাঁকড়া ধরার সময় হঠাত্ই তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি বাঘ। সঙ্গী সুবল মণ্ডল ও সুব্রত কয়াল তাকে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাঘের শক্তির সামনে দু’জনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তাকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায় বাঘ।
এরপর খবর দেওয়া হয় সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ঝিলার বিট অফিসে। কিন্তু বন বিভাগের কর্মীরা সেখানে গিয়ে চিত্তর দেহের সন্ধান পাননি। রাত পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি তার।সুন্দরবনে সাম্প্রতিককালে তিন দিনের মধ্যে বাঘের হামলার তিনটি পৃথক ঘটনার দুজনের জনের মৃত্যুর ও একজনের নিখোঁজের নজির নেই বলে জানিয়েছেন বনকর্মীরা।