সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: গঙ্গাসাগর :: আবারও ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল শ্রমিকের। সহকর্মীকে খুন করার অভিযোগ উঠল সহকর্মীদের বিরুদ্ধে। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গঙ্গাসাগরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে দু মাস আগে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করার জন্য সাগরের ধসপাড়া মনসা মোড়ে বাসিন্দা সুব্রত হাজরা ও তার বোন টুম্পা হাজরা চেন্নাই এর উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়।
ওই এলাকার ৩ জন প্রতিবেশী যুবক জগন্নাথ ঘোড়ুই, মধুমঙ্গল ও শংকর মন্ডল চেন্নাইয়ে যায়। জগন্নাথ ঘোড়ুই ঠিকা শ্রমিকের অপারেটরের কাজ করে। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল ছন্দ পতন হলো একটি ফোনে রবিবার রাতে |সুব্রতর বাড়িতে ফোন করে সুব্রতর বোন। পরিবারের লোককে বলে দাদা নেই। স্বাভাবিকভাবে একটি ফোনেতে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের সদস্যরা।
এরপর মঙ্গলবার চেন্নাই থেকে সুব্রত দেহ বাড়িতে আসে। ছেলের মৃত শরীর দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে সুব্রতর বাবা। এরপর সুব্রতর বোন টুম্পা সুব্রত মৃত্যু রহস্যের পর্দা ফাঁস করে। টুম্পা হাজরা বলে, দাদাকে জগন্নাথ ,মধু ,শংকর মিলে খুন করেছে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই সুব্রত জগন্নাথের কাছে একটি ফোন কিনে দেওয়ার জন্য আবদার করে। জগন্নাথ ফোন না কিনে দেওয়ায় বেশ কয়েকবার সুব্রতর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে জগন্নাথ।টুম্পা আরও চাঞ্চল্যকর দাবি করে, ঐদিন রাতে জগন্নাথ ,মধু ,শংকর বাজার থেকে মদ আর মাংস কিনে আনে সুব্রতর সঙ্গে ওই দিন রাতেই মদ খায়। এরপর সুব্রতকে নিয়ে বাইরে চলে যায় ওরা ।তার পর আর আমার দাদা বাড়ি আসেনি।
আমি বারবার আমার দাদা কোথায় জিজ্ঞাসা করলে ওরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এরপর আমি চুপ করে যাই এবং দাদার মৃতদেহ নিয়ে বাড়ি চলে আসি ।বোন টুম্পা পরিবারের সদস্য সামনে সত্য ঘটনা উন্মোচন করে। বলে আমি চাই দোষীর শাস্তি পাক। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে সাগর থানার পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকে মূল জগন্নাথ ঘড়ুই ও তার সঙ্গীরা পলাতক।
রোজকার একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শোকোস্তব্ধ হয়ে পড়েছে পরিবার। সুবিচারের আশায় প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে পরিবারের সদস্যরা।