কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: বুধবার ২৪,জানুয়ারি :: মানিকচক:অবাক কান্ড মানিকচকে! জনসাধারণকে দেওয়া জিনিস নিজেদের মধ্যেই ভাগ বাটোয়ারা ! পঞ্চায়েত সমিতি থেকে দেওয়া পশু অর্থাৎ গরু নিলেন খোদ মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার স্বামী।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর থেকে দরিদ্র সীমায় থাকা পশুপালকদের দেওয়ার কথা যে গরু সেই গরু নিজের কাছেই রাখলেন মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সদস্যা আনজুম সাজিরার স্বামী আবু তালেব। এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মানিকচক জুড়ে।
পশু নেওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের এক কর্মকর্তা। কি করে নিতে পারেন নিজের নামে এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিরোধী দলের মধ্যে।তবে তৃণমূলের অন্দরে ও চলছে কানাঘুষো। এ বিষয়ে দক্ষিণ মালদার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মন্ডল বলেন “চুরি করা এদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যেই নিজের নামে গরু নিয়েছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে আবু তালেব কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান “মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ নুরজাহান খাতুন মনে করেছেন বলে আমাকে দিয়েছেন। আমার আধার কার্ড চেয়েছিলেন আমি দিয়েছি।” তবে এটাও স্বীকার করেছেন এটা দরিদ্র লোকদের দেওয়ার কথা। কেন আমাকে দিল এ বিষয়ে সঠিক মৎস্য কর্মাধ্যক্ষই বলতে পারবেন।
তবে এই ঘটনায় অনেকেই চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন। এই ঘটনায় মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ নুরজাহান খাতুনের বক্তব্য ” উনার স্ত্রী আনজুম সাজিরা মৎস্য প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের স্থায়ী সমিতির সদস্য বলে প্রভাব খাটিয়ে নিজ স্বামীর নাম সরাসরি দিয়েছেন।
উনি বলছেন তার আধার কার্ড নিয়ে গরু প্রাপকের তালিকায় নাম দিয়ে দেওয়া হয়েছে কথাটা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন।বেনিফিসিয়ারীকে গরু পাওয়ার জন্য রেশন কার্ড বাধ্যতামূলক ছিল।”