উদয় ঘোষ :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: আমানতকারীদের কোটি টাকার কাছাকাছি আত্মসাত করে গা-ঢাকা দেওয়া লগ্নি সংস্থার এক কর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলার কোতয়ালি থানার পুলিস। ধৃতের নাম আমানত আলি। হুগলির পাণ্ডুয়া থানার ভিটাসিন গ্রামে তার বাড়ি। বুধবার সকালে মেমারিতে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে স্থানীয় থানার সাহায্য নিয়ে কোতয়ালি থানার পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। এদিনই ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।
তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে মধ্যপ্রদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। সিজেএম ৪ দিনের ট্রানজিট রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মেয়াদের মধ্যে গুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ধৃতকে পেশ করার জন্য নিের্দশ দেওয়া হয়েছে। আদালতে পেশ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য তদন্তকারী অফিসারকে নিের্দশ দিয়েছেন সিজেএম।
পুলিস জানিয়েছে, কোতয়ালি থানা এলাকায় লগ্নি সংস্থা খোলে আমানত সহ কয়েকজন। সংস্থাটি রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বিনিয়োগের কথা বলে চড়া সুদ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আমানত সংগ্রহ করে। আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারেনি সংস্থাটি। এনিয়ে ২০১৮ সালে সংস্থাটির কর্তাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ জমা পড়ে। তার ভিত্তিতে ভুয়ো নথি তৈরি করে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু হয়। তারপরই গা-ঢাকা দেয় আমানত সংস্থার কর্তারা।
কেসের তদন্তকারী অফিসার অনিত আগরওয়াল বলেন, সংস্থাটি বাজার থেকে কোটি টাকার কাছাকাছি আমানত সংগ্রহ করে। আমানতকারীদের অর্থ ফেরত না দিয়েই সংস্থার কর্তারা গা-ঢাকা দেয়। কয়েকজনকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে আমানত মধ্যপ্রদেশ থেকে পালিয়ে আসে। আমানত ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। তাকে মধ্যপ্রদেশে নিয়ে গিয়ে আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেওয়া হবে।