নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কাকদ্বীপ :: বৃহস্পতিবার ১৬,জানুয়ারি :: আরজিকর কাণ্ড নিয়ে সম্প্রতি তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। আরজিকরের কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় কার্যত তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্য।
আরজিকর কান্ডের তদন্ত তদন্তের স্বার্থে বৃহস্পতিবার সকালে আরজিকরের জুনিয়ার ডাক্তার ডা: আসফাকুল্লার নাইয়া বাড়িতে আসেন তদন্তকারী অফিসাররা।
বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপ বিধানসভার অন্তর্গত হারুড পয়েন্ট পোস্টাল থানার রামতলু নগর এলাকায় জুনিয়ার ডাক্তার বাড়িতে পৌঁছায় পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। জুনিয়ার ডাক্তারের বাড়িতে বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে তল্লাশি চালায় তদন্তকারী অফিসাররা এরপর তারা বেরিয়ে যায়। বর্তমানে আরজিকর হাসপাতালের হোস্টেলেই থাকে আশফাকুল্লা।
ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছে এলাকার মানুষজনেরা। এ বিষয়ে আশফাকুল্লা নাইয়ার দাদা অলিউল্লাহ নাইয়া বলেন, সকালে বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার আসফাকুলার ঘর সার্চ করতে আসে। বেশ কিছুক্ষণ সার্চ করে তারা বেশকিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে এবং সিজার লিস্ট আমাকে দেন।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী মহিলা তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আমরা দেখি বেশ কয়েকজন পুলিশ ওদের বাড়িতে এসেছে তদন্ত করতে। আমার মনে হয় মহিলা চিকিৎসকের ঘটনায় তদন্ত করতে এসছে অফিসাররা।
এই বিষয়ে জুনিয়র চিকিৎসক আশফাকুল্লা নাইয়া বলেন,একটা চিঠি দিতে ৪০ জন পুলিশের প্রয়োজন পড়েনা। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা পার্থ চট্টোপাধ্যায় অথবা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নয়। এমনকি কোন অনৈতিক কাজের সঙ্গেও যুক্ত নয়। একটা কর্ম ক্ষেত্রে ধর্ষণ ও খুন করার মত ঘটনার প্রতিবাদ না করলে কার প্রতিবাদ করব? এগুলো সবটাই ষড়যন্ত্র।”