ব্যুরো নিউজ :: সংবাদ প্রবাহ :: গাজা :: বুধবার ২৪,জুলাই :: মানব সভ্যতার সবচেয়ে বড়ো নিষ্ঠুরতা দেখাচ্ছে ইসরাইল। গাজা আক্রমনের পরে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল তো ধ্বংস করেছেই এবার ওদের তিব্র আক্রমনে নষ্ট হয়ে গেছে সমস্ত পানীয় জলের কুয়ো। ফলে উত্তর থেকে দক্ষিণ, যতদিন যাচ্ছে আরও ভয়াবহ হচ্ছে গাজার পরিস্থিতি।
ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। ঠিক মতো পৌঁছছেনা ত্রাণ। তীব্র হয়েছে খাদ্য সংকট। না আছে পানীয় জল, না আছে সারাদিনের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ করার জল। ইজরায়েলি সেনার অভিযানে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে সমস্ত কুয়ো। জলের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। প্রকোপ বাড়ছে নানা ভাইরাসের। যার মধ্যে আতঙ্ক ধরাচ্ছে পোলিও-র বাড়বাড়ন্ত। সবটা মিলিয়ে এক ভয়াবহ অবস্থা এখন গজার নাগরিকদের।
সমস্ত শরণার্থী শিবির পুরোপুরি ধবংস হয়ে গিয়েছে। গত ১০ মাস ধরে জল সরবরাহ ঠিকমতো হচ্ছে না। পরিবারকে দৈনন্দিন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় জল এনে দেওয়ার জন্য রোজ দীর্ঘ পথ পাড়ি দেন তিনি। কিন্তু উত্তর গাজার বিস্তীর্ণ অঞ্চল চষে ফেলেও কোনও কোনও দিন খালি হাতে ফিরতে হয় তাঁকে। এই একই ছবি দেখা যাচ্ছে গাজার অন্যান্য জায়গাতেও।
এই সময় তীব্র গরমে একটু পানীয় জলের খোঁজে ধ্বংসস্তূপ হাতড়ে বেড়ায় শিশুরাও। সে এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য। এনিয়ে রাষ্ট্র সংঘের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে থেকেই ছিল জলসংকট। গাজায় ভূস্তরীয় জলের ৯৭ শতাংশ দূষিত এবং পানের অযোগ্য।
গত ১০ মাস ধরে ইজরায়েলের অভিযানে সেই পরিস্থিতি এখন চরমে পৌঁছেছে। এদিকে, ইজরায়েলের অভিযানের ফলে গাজায় তীব্র হয়েছে ওষুধের সংকটও। যা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। গাজায় জারি রয়েছে মৃত্যুমিছিল। মৃতের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ৩৮ হাজার।