সুদেষ্ণা মন্ডল:: সংবাদ প্রবাহ :: মগরাহাট :: মঙ্গলবার ২৫,মার্চ :: সামনেই খুশির ঈদ।ঈদের এই উৎসবে চাই সিমুই। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মগরাহাটের বেলাড়িয়ায় রয়েছে সিমুই তৈরির কারখানা। জেলা জুড়ে এবার ব্যাপক চাহিদা মগরাহাটের সিমুই আর লাচ্চার। চূড়ান্ত ব্যস্ততা তাই এখন কারখানায়।
চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যোগান দিতে প্রতিদিন সুস্বাদু স্বাদের কেজি কেজি কাঁচা ও ভাজা সিমুই, লাড্ডু আর লাচ্চা তৈরি করছেন কারিগররা। উপকরণ বলতে ময়দা, ঘি বিশুদ্ধ জল, তেল ও ডালডা। প্রথমে ময়দা মেখে যন্ত্রের জালিতে ফেলে কাঁচা সিমুই তৈরি করছেন কারখানার শ্রমিকরা। তারপর তেল ও ডালডায় ভাজা হচ্ছে সেই কাঁচা সিমুই।
দক্ষ হাতের পাকে প্রস্তুত করা হচ্ছে লাড্ডু ও লাচ্চা। এরপর প্যাকেট বন্দি হয়ে সেসব চলে যাচ্ছে নামখানা, কাকদ্বীপ, সাগর, রায়দিঘি, জয়নগর, ডায়মন্ডহারবার, আমতলা ও বারুইপুরের বাজারে। এই সিমুই ও লাচ্চা তৈরির কারিগররা বেশিরভাগই আসেন বিহার ও উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে। এবছরও এসেছেন তাঁরা।
ওই দক্ষ কারিগররা নাওয়া খাওয়া ভুলে নাগাড়ে কাজ করে চলেছেন মগরাহাটের সিমুই তৈরির কারখানাগুলিতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, মগরাহাট, দেউলা এলাকা থেকেও এসেছেন শ্রমিকরা। সকলেই ব্যস্ত সিমুই তৈরিতে।
তিন-চার বছর ধরে সিমুই তৈরির কারখানায় কাজ করছেন আশিফুল হালদার। আশিফুল জানান, তাঁদের কারখানায় দিনে প্রায় ৫০০ কেজি লাড্ডু তৈরি হচ্ছে। আর এক কারিগর সোহন হালদার বলেন,তাঁদের এখন প্রচন্ড ব্যস্ততা।
সকাল ৫ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের। কারণ এবছর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে সিমুইয়ের। আর লাড্ডু বা লাচ্চার চাহিদা তো রয়েই ছে।
মগরাহাটের সব কারখানাতেই একইভাবে তৈরি হচ্ছে মোটা সিমুই, সরু সিমুই, এক নম্বর ও দেড় নম্বর সিমুইয়ের মত প্রায় পাঁচ রকমের সিমুই, ছোট ও বড় আকারের লাচ্চা আর লাড্ডু। যদিও সেসব তৈরি হচ্ছে পাইকারি খদ্দেরদের অর্ডার অনুযায়ীই।
এমনই এক সিমুই কারখানার মালিক মহ: সাহাবুদ্দিন মোল্লা জানান, ময়দা এবং তেল ও ডালডার দাম বেড়ে যাওয়ায় এবছর উৎপাদিত দ্রব্য কিলো প্রতি ১০-১২ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
তাঁর কারখানায় তৈরি কাঁচা সিমুই প্রতি কিলো ৪৬ টাকা, ভাজা সিমুই কেজি প্রতি ৫৪ টাকা, লাচ্চা কেজিতে ১০৫-১১০ টাকা দরে দেদার বিকোচ্ছে। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যোগানের পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে।