নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হাওড়া :: বৃহস্পতিবার ৯,জানুয়ারি :: হাওড়ার শষ্য ভান্ডার হিসাবে পরিচিত উদয়নারায়নপুর ও আমতা দুই নং ব্লক।এই এলাকার কয়েক হাজার চাষী এবার আলু চাষ করেছেন। কিন্তু সূর্য ডুবলেই বুনো শুকরের অতর্কিতে হামলার জেরে তছনছ হয়ে যাচ্ছে আলু ক্ষেত।
আমতা দুই ব্লকের ধাঁইপুর,মৈনান,সেহাগড়ী ,জয়পুর,ঝিকিরা সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় এবার আলু চাষ হয়েছে। এমনিতেই এবছর ওই এলাকায় বন্যা হওয়ার জন্য আমন ধান ঘরে ওঠে নি।রামপুর খাল ও দামোদর নদের বিস্তীর্ণ চর এলাকায় আলু ও শীতকালীন শষ্য চাষ করেছেন তারা। শীতকালীন শষ্যের অনেকটা অংশ বাজারে এসেছে।
আর আলু সবে মাত্র বসানো হয়েছে। কিন্তু আলুচাষীদের এখন শিরে সংক্রান্তি অবস্থা।রাত জেগে ক্ষেতে পাহারা দিতে হচ্ছে ।এই ঠান্ডা কে উপেক্ষা করে অনেকে তাঁবু বেঁধে থাকছেন।কেউ কেউ আলুর ক্ষেতে রাত্রে হ্যারিকেন জ্বালিয়ে রাখছেন।তবু কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না বুনো শুকরের হানা।দল বেঁধে এসে মাটি খুঁড়ে আলু তুলে খেয়ে নিচ্ছে ।
ইতিমধ্যেই শতাধিক বিঘা জমির আলু নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন হাওড়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রমেশ চন্দ্র পাল।তাঁর নিজের ও আলু ক্ষেত বুনো শুকর হানা দিয়ে তছনছ করেছে বলে জানান তিনি। প্রবীণ আলু চাষী লক্ষ্মীকান্ত মালিক জানান,” ইদানিং কালে শুকরের আক্রমন বেড়ে গিয়েছে।” উল্লেখ্য শুকরের আক্রমণ বেশী হয়েছে ধাঁইপুর,মৈনান এলাকায়।
এদিকে বুনো শুকরের সমস্যা মেটানোর জন্য কোন গাইড লাইন নেই বলে জানিয়েছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। সদুত্তর দিতে পারে নি কৃষি দফতর ও। ফলে হতাশ কয়েক হাজার আলু চাষী।