ইন্দ্রজিত :: সংবাদ প্রবাহ :: কোলকাতা নিউজ ডেস্ক :: রবিবার ২০,এপ্রিল :: কৃষক, শ্রমিক, খেতমজুর সংগঠনের ডাকে আজ, রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ । যদিও মাঠ ভরানোর মরিয়া লক্ষ্যে ছাত্র-যুব সংগঠন-সহ পুরো পার্টিই নেমেছে ছাব্বিশের ভোটের আজকের সমাবেশে শক্তি দেখাতে।
এর আগেও ব্রিগেডে লোক এনেছে সিপিএম। কিন্তু ভোট কোথায়? চলে যাওয়া ভোট কি ফিরবে? ৫ শতাংশে নেমে যাওয়া শূন্যের রেকর্ড করা সিপিএম ঘুরে দাঁড়াতে কি কোনও বাড়তি অক্সিজেন পাবে আজকের সমাবেশ থেকে?
আক্রমণাত্মক মেজাজে সিপিএমের ব্রিগেড সমাবেশে আসা জনতাকে বার্তা দিলেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক তথা পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম । সেলিম বলেন, ‘যারা দূরবীন দিয়ে লাল ঝান্ডা দেখতে পাচ্ছিল না, তাদের বুকে কাঁপন ধরাবে এই ব্রিগেড।’
সেলিমের অভিযোগ, ‘কাজের জায়গা ছোট হয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্র, রাজ্যে কোথাও নিয়োগ হচ্ছে না। যেখানে নিয়োগ হচ্ছে, সেখানে দুর্নীতির পাহাড়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাকে ঝামা ঘষে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ২৬ হাজার মানুষের চাকরি গিয়েছে।
সেলিমের ভাষণে গুরুত্ব পায় মুর্শিদাবাদ প্রসঙ্গ। সেলিম বলেন, ‘গরিবের লড়াই গরিবকেই লড়তে হবে, কোনও লাট-বেলাট এই লড়াই লড়তে পারবে না, মুর্শিদাবাদে যাঁরা খুন হলেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে।’ মুর্শিদাবাদ হিংসার বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করে সেলিম বলেন, ‘হিন্দু মুসলিম সবাইকে এক সঙ্গে লড়তে হবে।
আমরা মুর্শিদাবাদকে বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘু নিধনের জায়গা হতে দিতে পারি না।’ রাজ্য সরকারের পাশাপাশি কেন্দ্রকেও বেঁধেন সেলিম। তিনি জানান, সরকার এখন ট্রেন না চালিয়ে মন্দির মসজিদ চালাচ্ছে। তৃণমূল বিজেপির স্ক্রিপ্টের লেখক একজনই তিনি হলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।
‘ওরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না। আমি চাইব এই সমাবেশ সফল হোক।’ রবিবার বামেদের ব্রিগেড সমাবেশের সাফল্য কামনা করে এই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর এবং বস্তি— এই চার গণসংগঠনের ডাকে রবিবার ব্রিগেডে সমাবেশের ডাক দিয়েছিল সিপিআইএম। বৈশাখের তপ্ত দুপুরে লাল পতাকায় ছেয়ে গিয়েছিল ব্রিগেড ময়দান।
এই সমাবেশ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, “ভারতবর্ষে বামেরা ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি। ওদের সঙ্গে রাজনৈতিক ও মতাদর্শের দিক থেকে অনেক বিরোধ রয়েছে। একটা সময় বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। বাম আমলে আন্দোলন করতে গিয়ে প্রচুর মার খেয়েছি। বুকে এখনও গুলির দাগ রয়েছে। জেল খেটেছি। কিন্তু এটাও বলতে হবে, ওরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না। আমি চাইব এই সমাবেশ সফল হোক।”
শুধু অধীর চৌধুরীই নয়, বামেদের ব্রিগেড সমাবেশের সাফল্য কামনা করেছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। ব্রিগেড সমাবেশের সাফল্য কামনা করে তিনি সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের ব্রিগেড। সাফল্য কামনা করি।’’