সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ডায়মন্ডহারবার :: মঙ্গলবার ১,অক্টোবর :: শেষ হতে চলেছে দীর্ঘ এক বছরের প্রতীক্ষার অবসান। উমা আসছেনা সপরিবারে বাপের বাড়িতে। দুর্গাপূজো মানে ঢাকের তাল আর ধুনুচি নাচ। এক বছর ধরে পূজোর এই পাঁচটা দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢাকি পাড়ার বাদ্যকররা।
পুজোর আর মাত্র কয়েকটা দিনই বাকি তাই নিজেদের বাদ্যযন্ত্র শেষবারের ঝালিয়ে নিচ্ছেনা বাদ্যকররা। সারা বছর বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পুজোর পাঁচটা দিন ডাক পড়ে তাদের। পরিবার স্বজনকে ছেড়ে লক্ষ্মী লাভের আশায় রাজ্যে বিভিন্ন জায়গা সহ ভিন রাজ্যেও পাড়ি জামান ঢাকিরা। এবছরও তারা মুখিয়ে আছেন উৎসব কবে শুরু হবে । কবে হাতে আসবে লক্ষ্মী।
চলছে গ্রাম থেকে শহরে আসার জন্য তোড়জোড় । ঢাক কাঁসর ছাড়া উৎসবের অঙ্গন মুখরিত হয়না। তাই পুজো প্রাঙ্গণ মাত করার জন্য শেষ বেলার মহড়া চালাচ্ছেন ঢাকিরা। সারা রাজ্যের ঢাকিরাই চাইছেন উৎসবের আনন্দমুখর অঙ্গনে সাড়া ফেলতে। কারণ ঢাকের বোল ফুটলে তবেই তাদের লক্ষ্ণীর ভান্ডার ভরে। সারা বছরের অর্থের খরা দূর হয়ে রোজগারে জোয়ার আসে।
এবার পুজো নিয়ে নানা মহলে প্রচার চলছে। কেউ কেউ পুজোর আড়ম্বর কমিয়ে দিতে চান আরজিকর কাণ্ডের জেরে। ঢাকিরা বলছেন পুজো প্রাঙ্গণে ঢাকের বোল এবছরও আরো জোরালো হোক। যাতে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভশক্তির জয়গানের বার্তা ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে । এই পুজোর দিকে তাকিয়েই অনেক স্বপ্ন বোনেন ঢাকিরা। ঠিকমতো বায়না এলে সংসারের অভাব অনেকটাই কাটে।
স্ত্রী-সন্তানের মুখে ফোটে হাসি। ডায়মন্ডহারবারের হাঁটুগঞ্জে রুইদাস পাড়াতে এখন বাদ্যকরদের হাতে একটুও সময় নেই। নাওয়া-খাওয়া ভুলে এখন ব্যস্ত তাদের বাদ্যযন্ত্র প্রস্তুত করতে। এ বিষয়ে গোষ্ঠ রুইদাস নামে এক বাদ্যকর জানান, সারা বছর আমরা চাষবাস এবং অন্যান্য কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পুজোর এই পাঁচটা দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকি।
ইতিমধ্যেই শহরতলীর বিভিন্ন দুর্গো উৎসব কমিটির সদস্যরা এসে আমাদেরকে বায়না দিয়ে গিয়েছেন । আমরা এখন আমাদের বাদ্যযন্ত্র প্রস্তুতির কাজে লেগে পড়েছি।