এই কংক্রিট সেতু উদ্বোধনের ফলে দৈনিক ১.২৫ লাখ টাকার ও বার্ষিক ৪.৫ কোটি টাকার জ্বালানি সাশ্রয় হবে।

সুদেষ্ণা মন্ডল  :: সংবাদ প্রবাহ :: বারুইপুর :: ২২শে, মার্চ :: দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট । শুধু দিনক্ষণ ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা । তার আগেই রাজ্য সরকারের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে ।

মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা বারইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে কেশবপুর গ্রামে শংকরপুর এক নম্বর দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত সংযোগকারী কেশবপুর কংক্রিটের সেতু উদ্বোধন করেন বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক তথা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান ব্যানার্জি ও সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ।

এই নবনির্মিত কংক্রিটের সেতু উদ্বোধনে পরে এই এলাকার ৭০ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হবে। এই কংক্রিট সেতু উদ্বোধনের ফলে দৈনিক ১.২৫ লাখ টাকার ও বার্ষিক ৪.৫ কোটি টাকার জ্বালানি সাশ্রয় হবে।

এই নবনির্মিত ব্রিজ বিশেষ করে কেশবপুর, দাদপুর , মুলটি, বানীবেরিয়া, শংকরপুর ও কাঠালবেরিয়া অঞ্চলের বসবাসকারী চাষীদের কৃষি জমিগুলোকে সংযোগ করবে। এই অঞ্চল পুরোটাই কৃষি প্রধান তাই নবনির্মিত এই সেতুটি একসাথে কৃষি কাজ এবং শিল্পের অগ্রগতিকে বিপুলভাবে সহায়তা করবে।

এছাড়া এই নবনির্মিত সেতুটি মগরাহাট এবং জয়নগরের সাথে কেশবপুর দাঁতপুর বনসুন্দরিয়া মুলটি, বাণীবেরড়িয়া শংকরপুর কাঠালবেরিয়া অঞ্চলগুলিকে সংযোগ করবে।। এই অঞ্চল গুলি নবনির্মিত সেতুর কারণে বারুইপুর, কল্যাণপুর, মগরাহাট এবং ধামুয়া রেল স্টেশনের সাথে সাবলীলভাবে যুক্ত হবে এই কারণে যাতায়াত খরচ অনেক কমে যাবে এবং সময়ও বাঁচবে।

যার কারণে বিপুল পরিমাণে মানুষের সুবিধা হবে এবং সামগ্রিকভাবে বহু সংখ্যক মানুষ অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সুবিধা প্রাপ্ত হবে। এই ব্রিজটি ৫.৫.৫ মিটার চওড়া, ০.৬ মিটার ফুটপাথ, বীজের দৈর্ঘ্য ২৭.০৫ মিটার, ব্রিজের দুপাশে সেতু সংযোগকারী রাস্তার দৈর্ঘ্য ৩.৫ মিটার, ব্রিজটির নির্মাণের সময়কাল ছিল ২ বছর। ব্রিজটি সর্বমোট খরচ পড়েছিল ৩ কোটি ২১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − four =