নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হুগলির দাদপুর :: শনিবার ৩,মে :: এই নিয়ে তিনবার ফিরতে হল প্রশাসনকে।জমির মালিকের দাবী আদালতের রায় মেনে জমি ফিরিয়ে দিতে পারছে না প্রশাসন। বিক্ষোভকারীদের দাবী, জমি তাদের। সেই জমি থেকে জোর করে উচ্ছেদ করা যাবে না।
হুগলির দাদপুর থানার বাবনান গ্রাম পঞ্চায়েতের মূলগ্রাম মৌজার প্রায় ত্রিশ বিঘা জমি বাম আমলে ১৯৯৪ সালে পাট্টা দেওয়া হয়। ১৭৭ জন সেই পাট্টা পেয়ে চাষবাস করছিলেন এতদিন। জমির মালিক সেই জমি ফিরে পেতে মামলা করে আদালতে। হাইকোর্ট জমি বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেয় মহকুমা শাসক ও ব্লক প্রশাসনকে।
সেই মত আজ পুলিশ নিয়ে প্রশাসনের লোকজন জমি দখল নিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে । গ্রামবাসীদের নিয়ে স্থানীয় সিপিএমএর কৃষক সভার নেতৃত্ব বিক্ষোভ শুরু করে। নেতৃত্ব দেন বাম নেত্রী বন্যা টুডু। ব্রিগেডে মেহনতী মানুষের সবাই যিনি বক্তব্য রেখেছিলেন।
উপস্থিত ছিলেন পান্ডুয়ার প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক আমজাদ হোসেন। শনিবার বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে জমি দখল নিতে যায় ব্লক প্রশাসন। পোলবা-দাদপুর বিডিও ও পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে পাট্টাদাররা। বিক্ষোভে দলের পতাকা হাতে প্লাকার্ড নিয়ে নেতৃত্ব দেয় সিপিআইএম।
বিক্ষোভকারীরা জানান,কোনো মতে জমি তারা ছাড়বেন না।গত ত্রিশ বছর ধরে তারা চাষ করছেন ওই জমিতে।বাম সরকার তাদের পাট্টা দিয়েছিল।এই জমি তাদের।বর্তমান সরকার সেই জমি কেড়ে নিতে চাইছে।
জমির মালিক মহসীন মন্ডল বলেন,বাম সরকারে আমলে সিপিএম জোর করে জমি দখল করে বিলি করে দিয়েছিল।এই জমির মালিক আটওয়ারা খাতুন।২০০২ সালে পাট্টা খারিজ হয়ে গেছে।২০১৯ সালে আমাদের নামে পর্চা হয়ে যায়।তারপর থেকে জমির দখল নিতে পারিনি।আদালত নির্দেশ দিলেও তা দিতে পারছে না প্রশাসন।
এ নিয়ে তিনবার জমির দখল নিতে এসে ফিরে গেল পুলিশ প্রশাসন।তাহলে কি আমরা জমি ফেরত পাব না।হাইকোর্ট অর্ডার দেওয়া সত্বেও জমি ফিরিয়ে দিতে পারছে না প্রশাসন। জানা গেছে পাট্টাদারদের তরফে হাইকোর্টে আপিল করা হয়েছে।তার শুনানীর দিন আগামী সাত তারিখ।সেই দিন পর্যন্ত সময় দিয়েছে প্রশাসন।