একই রাস্তার সংস্কারের জন্য একবার বা দুইবার নয়, তিনবার টেন্ডার! কিন্তু কাজ ঠিকভাবে না করিয়েই ঠিকাদারকে টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: গলসি :: শনিবার ১,ফেব্রুয়ারি :: একই রাস্তার সংস্কারের জন্য একবার বা দুইবার নয়, তিনবার টেন্ডার ! কিন্তু কাজ ঠিকভাবে না করিয়েই ঠিকাদারকে টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার স্থানীয়রা দাবি, করেন সরকারি অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে, আর সেই অভিযোগে পঞ্চায়েত প্রধানের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন তারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গলসি ১ নম্বর ব্লকের লোয়াপুর কৃষ্ণরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লোয়াপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সোদপুর পুরোনো সেতু পর্যন্ত ৫০০ মিটার দীর্ঘ রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সংস্কারের জন্য বারবার টেন্ডার হলেও রাস্তার অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

তিন মাসে তিনবার টেন্ডার! তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ই নভেম্বর গলসি ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি ৯২,১৬২ টাকার, ১১ই নভেম্বর ৯২,৩৪৮ টাকার এবং ৮ই জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে লোয়াপুর কৃষ্ণরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ৫১,৮২৯ টাকার টেন্ডার করে। অভিযোগ, এই তিনটি টেন্ডারেই কাজ পেয়েছে একই ঠিকাদারি সংস্থা!

এক আন্দোলনকারী বলেন, “বারবার টেন্ডার হচ্ছে, কিন্তু রাস্তায় উন্নতির ছিটেফোঁটাও নেই। এটা কি সরকারি অর্থ লুটপাট নয়”? বিষয়টি নিয়ে গলসি ১ নম্বর ব্লকের বিডিও জয়প্রকাশ মন্ডল জানান, “পঞ্চায়েত সমিতি নিয়ম মেনেই টেন্ডার করেছে এবং কাজও হয়েছে। তবে ওই রাস্তার সংস্কার যথাযথ হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখে বলতে পারবো”।

এই প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সিতারাম গড়াই জানান, “প্রথম দু’টি টেন্ডারের টাকায় রাস্তার মেরামতি পুরোপুরি সম্ভব হয়নি। তাই পরে আরেকটি টেন্ডার করা হয়। তিনটি কাজই আমি করেছি, আধিকারিকরা এসে দেখে গিয়েছেন, তারপরই টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে”।

তবে স্থানীয়রা এই যুক্তি মানতে নারাজ। তারা বলছেন, বারবার টেন্ডার করে সরকারি অর্থ নয়ছয় করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে এ নিয়ে তদন্ত হবে কিনা, সেটাই এখন দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × two =