নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: চুঁচুড়া :: বুধবার ৩,ডিসেম্বর :: একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন প্রথম দায়রা আদালতের বিচারক সঞ্জয় শর্মা।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় মগরা থানার অন্তর্গত নতুন গ্রাম বিপিআর পাড়ের বাসিন্দা মোহম্মদ আনোয়ার ২০১৯ সালের ৭ জুন রাত্রিবেলা খাওয়া-দাওয়া সেরে বাড়ি থেকে বের হন। বাড়িতে বলে যান কিছুক্ষণ পরেই তিনি ফিরে আসবেন। কিন্তু তারপরে আর তিনি বাড়ি ফেরেননি।
পরের দিন সকালে মোহাম্মদ আনোয়ার এর মামা রঞ্জিত সাউকে তার পরিচিত একজন জানান তার ভাগ্নে মৃত অবস্থায় মগরা হাসপাতালে রয়েছে। এরপর তড়িঘড়ি রঞ্জিত সাউ পৌঁছান মগরা হাসপাতালে।
সেখানে গিয়ে দেখেন হাসপাতালে স্ট্রেচারের ওপর শোয়ানো রয়েছে তার ভাগ্নার দেহ। চোখেও মাথার পেছনে গভীর ক্ষতের চিহ্ন। এরপরে তিনি পৌঁছন মগরা থানায়। পুলিশ সূত্রে জানতে পারেন মগরা পোস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল মোহাম্মদ আনোয়ার।
এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রঞ্জিত সাউ। সেখানে গিয়ে দেখেন মাটিতে পড়ে রয়েছে রক্ত। পাশাপাশি স্থানীয় নৈশ্য প্রহরীদের কাছ থেকে গোটা ঘটনার বিবরণ শোনেন তিনি। জানতে পারেন স্থানীয় লক্ষ্মী নামে এক মহিলার কাছে সেই রাতে এসেছিলেন তিনি।
লক্ষ্মীর সাথে টাকা-পয়সা নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয়েছিল তার। তবে সেখানে লক্ষ্মী এবং মোহাম্মদ আনোয়ার ছাড়াও ছিলেন লক্ষ্মীর এক সংগী কৃষ্ণ বাউল দাস। তর্ক বিতর্কের সময় কৃষ্ণ ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে মোহাম্মদ আনোয়ার কে। এরপরই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। পরে সেখান থেকে চম্পট দেয় লক্ষ্মী ও কৃষ্ণ।
এরপরেই থানায় ফিরে এসে তার ভাগনাকে খুন করা হয়েছে এই মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই তদন্ত নামে পুলিশ। পুলিশ তদন্তে নেমে লক্ষ্মী ও তার সঙ্গী কৃষ্ণ বাউল দাসকে গ্রেফতার করে।
চুঁচুড়া আদালতের প্রথম দায়রা আদালতে বিচারক সঞ্জয় শর্মার এজলাসে এতদিন চলছিল সেই ঘটনার বিচার পর্ব। আজ বিচারক অভিযুক্ত দুজনকেই যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।

