সজল দাশগুপ্ত :: সংবাদ প্রবাহ :: নিউজ ডেস্ক :: রবিবার ৩,ডিসেম্বর :: আজ ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিন। জন্মদিবসে এই বীর বিপ্লবীর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। দেশের জন্য তিনি যে আত্মবলিদান দিয়েছেন সেই বীর গাথা আজও আমাদের বুকে গেঁথে রয়েছে।কিশোর ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি হওয়ার দিনে বয়স ছিল ১৮ বছর ৭ মাস এবং ১১ দিন।
উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের কনিষ্ঠতম এই বিপ্লবী কিশোর প্রফুল্ল চাকির সঙ্গে মিলে ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে বোমা ছুঁড়েছিলেন। তবে ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড অন্য একটা গাড়িতে বসেছিলেন, সেই কারনে বেঁচে যান। তবে দুজন ব্রিটিশ মহিলা বোমায় নিহত হন।
রংপুরে জন্ম নেয়া প্রফুল্ল চাকি গ্রেপ্তারের আগেই আত্মহত্যা করেন। ক্ষুদিরাম গ্রেপ্তার হন, আদালত কিশোর ক্ষুদিরামকে ফাঁসির হুকুম দেওয়া হয়।
ঐতিহাসিকরা লিখেছেন, ফাঁসির সাজা ঘোষণা শুনে বীর কিশোর ক্ষুদিরাম হেসেছিলেন, ফাঁসির সময়ে তাকে যখন মুখোশ পরানো হয় সেই সময়েও তার মুখে ছিলো সেই সাহসের সেই হাসি।তাঁর ফাঁসির পর ব্রিটিশ পত্রিকা “এম্পায়ার” প্রকাশিত প্রতিবেদনের একটি লাইন লেখা ছিল নিথর মৃতদেহ কিন্তু, মুখের হাসি -সেই হাসি।
ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ইতিহাসে বলে গোটা উপমহাদেশ ক্ষুদিরামের এই মৃত্যুতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল। ইতিহাস হয়ে আছে সেই বিখ্যাত গান, একবার বিদায় দে মা, ঘুরে আসি। একই সঙ্গে সব দেশপ্রেমিকের সাহসের প্রতীক হয়ে আছেন ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসির মঞ্চে বীরের মূদ্রায় হেটে উঠে যাওয়া। শ্রদ্ধা, ভালোবাসা অগ্নিযুগের কিশোর শহীদ- ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিনে।