সজল দাশগুপ্ত :: সংবাদ প্রবাহ :: নিউজ ডেস্ক :: রবিবার ৫,মে :: লন্ডন কলকাতার মধ্যে বাস চলাচল করত। শুনতে অবাক লাগলেও একসময় সাহেবদের দেশ থেকে কলকাতা পর্যন্ত বাস চলাচল করতো। তিলোত্তমা মানে নস্টালজিয়া। বাবুঘাট, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, ময়দান, মোহন ইস্ট এর ডুয়েল, ম্যাচে সমর্থকদের গলা ফাটানো চিৎকার।
এছাড়া সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ শহর কলকাতার দুর্গাপুজো। কলকাতা শহরের দূর্গা পূজার যে আনন্দ তা হয়তো বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আর অন্য কোথাও নেই। আকাশে পেজা তুলোর মত মেঘ , শিউলির গন্ধ সাথে রাতদিন সাতদিন ঠাকুর দেখা। একসময় ভারতের রাজধানী ছিলো শহর কলকাতা। স্বাধীনতার পরবর্তীকালে বিশ্বের দীর্ঘতম বাস রুটটি ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত আলবার্ট ট্রাভেল নামক একটি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।
এই রুটের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৩২,৬৬৯ কিলোমিটার । এ পথটি অতিক্রম করতে সময় লেগে যেত ৫০ দিন। দীর্ঘ ৫০ দিন সফর করতে হতো বাস যাত্রীদের। বাসটি লন্ডন থেকে যাত্রা শুরু করতো। এরপর বেলজিয়াম, যুগোস্লাভিয়া, তুরস্ক, ইরান, আফগানিস্তান এবং সব শেষে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান হয়ে কলকাতায় পৌঁছাত।
থাকা-খাওয়াসহ বাসের টিকিটের মূল্য ছিল ১৪৫ পাউন্ড। এই দীর্ঘ সফর যাতে একঘেয়েমির পর্যায় না পৌঁছায়, সেই জন্য যাত্রীদের মনোরঞ্জনের জন্য ব্যবস্থা থাকত। বেশ কিছু সুবিধা উপভোগ করতো যাত্রীরা। বাসে বই পড়ার ব্যবস্থা ছিল, এছাড়া রেডিওতে গান শোনার ব্যবস্থা। ঘুমানোর জন্য বাঙ্কার , পরিশেষে খাবারের জন্য সুসজ্জিত কিচেন ছিল। যাত্রা সময় মাঝে মাঝে দর্শনীয় স্থানগুলি দেখবার জন্য বিরতি দেওয়া হতো।।
তাজমহলসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার জন্য বিরতি দেওয়া হত। এছাড়া শপিং করবার জন্য বিরতি মিলতো যাত্রীদের। শপিং করার জন্য ভিয়েনা, ইস্তানবুল, কাবুল এবং তেহরানে বিরতি দেওয়া হত। যদিও সফর অনেক লম্বা ছিল তবে সব রকম সুবিধা উপভোগ করতো যাত্রীরা সেই জন্য একঘেয়েমি মনে হতো না। দেখতে দেখতে ৫০ টি দিন পার হয়ে যেত অবশেষে যাত্রীরা নিজেদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যেত।এখন হলে কেমন লাগত আপনার ?