একার কাঁধেই শিক্ষক শিক্ষার আলো দেখাচ্ছেন সুন্দরবনের কচিকাঁচাদের

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হিঙ্গলগঞ্জ :: মঙ্গলবার ৭,নভেম্বর :: বসিরহাটের সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সাহেবখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধবকাটি রমাপুর এফপি স্কুল। সেই স্কুলে মাত্র একজন স্থায়ী শিক্ষক। এভাবেই চলছে স্কুল। এই অবস্থা দীর্ঘদিনের। একটা সময় দুজন স্থায়ী শিক্ষক ছিলেন। তবে একজন শিক্ষক গতবছর নভেম্বর মাসের ৯ তারিখে চলে যান। এরপর থেকে শিক্ষক অমৃতেন্দু বিশ্বাসের উপরে নির্ভর করেই স্কুল চলছে।

স্কুলের ৫টি ক্লাসে সব মিলিয়ে ৩৯ জন পড়ুয়া আছে। পড়ুয়াদের দুটি ঘরে বসিয়ে অমৃতেন্দু বাবু একবার একটি ঘরে গিয়ে পড়ুয়াদের কিছুক্ষন পড়ান। তারপরে আবার কিছুক্ষণ অন্য ঘরে গিয়ে পড়ান। এভাবে কোন রকমে স্কুল চালাচ্ছেন গত কয়েক মাস ধরে। অমৃতেন্দু বলেন, “এভাবে স্কুল যেমন তেমন করে চালানো গেলেও পঠন-পাঠনের মান খারাপ হচ্ছে।”

বেশ কিছু বছর আগে সেখানে তিনজন শিক্ষক ছিলেন। একে একে সমস্ত শিক্ষকই কেউ ট্রান্সফার হয়ে আবার কেউ অবসর নিয়ে স্কুল ছাড়েন। এরপর স্কুলে আর কোন স্থায়ী শিক্ষক ছিল না। তাই পার্শ্ববর্তী পারঘুমটি এফপি স্কুল থেকে একজন স্থায়ী শিক্ষককে এই স্কুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে সাময়িক সময়ের জন্য পাঠানো হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমৃতেন্দু বিশ্বাস বলেন, “পাঁচটা ক্লাসের পড়ুয়াদের দুই ঘরে বসিয়ে ক্লাস নিই।

কোনো কারণে আমাকে অফিসের কাজে যেতে হলে স্কুল চালানোটা খুবই সমস্যার হয়ে যায়।” যদিও স্কুলের ঘন্টা বাজানো থেকে যাবতীয় অফিসিয়াল কাজ করার জন‍্য এক কর্মী রয়েছেন। পড়ুয়াদের দাবি অবিলম্বে পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। সোচ্চার হয়েছেন অভিভাবকরাও।

হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বনভূমি কর্মাধ‍্যক্ষ সুরজিৎ বর্মন বলেন, “বিদ্যালয়টিতে শূন্য পদ তৈরি হয়েছে বিষয়টি শিক্ষা দপ্তরকে জানানো হয়েছে আশা করছি দুটোই এর সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে‌।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 + eleven =