একুশে জুলাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে উড়ছে তৃণমূলের দলীয় পতাকা।

কুমার মাধব :: মালদা :: সংবাদ প্রবাহ :: একুশে জুলাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে উড়ছে তৃণমূলের দলীয় পতাকা।আর সেই পতাকা উত্তোলন করেছে কলেজের একাংশ অধ্যাপক।সাথে রয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা কর্মীরা।সামাজিক মাধ্যমে সেই ছবি ভাইরাল হতেই বিতর্কে জড়ালো মালদহের চাঁচল কলেজ।ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর।কলেজ এখন তৃণমূল দলীয় অফিস,কটাক্ষ ছুড়লেন বিজেপি।গতকাল কলকাতার ধর্মতলায় মঞ্চ কাঁপাচ্ছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তাবড় তাবড় নেতৃত্ব।একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে যেতে না পারা রাজ্যের প্রতিটি জেলার তৃণমূলকর্মীরা টেলিভিশন কিংবা জায়ান্ট স্ক্রিনের সামনে বসে নেত্রী সহ সবার বক্তব্য শুনেছেন। ঠিক সেই সময় মালদহের চাঁচল কলেজের ভিতরেই তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে বিতর্কের ঝড় তুললেন অধ্যাপকদের একাংশ। তাঁরা তৃণমূলেরই অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সদস্য। কিন্তু কলেজের মধ্যে তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা উত্তোলন করতে পারেন কিনা তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বিষয়টি জানতে পেরে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।গোটা ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপি-তৃণমূলের চাপানউতোর।চাঁচলের অন্যতম বিজেপি নেতা প্রসেনজিৎ শর্মার অভিযোগ,চাঁচল কলেজে শিক্ষা প্রদান না দিয়ে দলবাজি করা।এটা শিক্ষাসমাজে কলঙ্ক।সরকারি শিক্ষাঙ্গনে অধ্যাপকরা ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনা না করিয়ে রাজনীতি করছে।এককথায় কলেজকে তৃণমূলীকরণ করা হচ্ছে।এককথায় চাঁচল কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না ওটা তৃণমূলের প্রতিষ্ঠান হয়ে দাড়িয়েছে।ঘটনা প্রসঙ্গে চাঁচল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অজিত বিশ্বাস বলেন,আমার অনুপস্থিতিতে এই পতাকা কলেজের অধ্যাপকের একাংশ।তবে তারা তৃণমূলের ওয়েবকুপার কমিটির সদস্য।তারা দলীয় কর্মসূচি পালন করতেই পারে।তবে শিক্ষাঙ্গনের ভিতরে কেন হল তা নিয়ে আলোচনায় বসব। যদিও চাঁচল কলেজ টিএমসিপি ইউনিটের দাবি,আমরাই কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছিলাম।অধ্যাপকরা আমাদের সঙ্গ দিয়েছিল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভিতরে শুক্রবারও উড়েই চলেছে তৃণমূলের দলীয় পতাকা।এছাড়াও তৃণমূলের দলগত পোষ্টার-ব্যানারে ঠেসে গেছে কলেজের দেওয়ালে দেওয়ালে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 13 =