ব্যুরো নিউজ :: সংবাদ প্রবাহ :: মহারাষ্ট্র :: শনিবার ২৭,জুলাই :: সব কিছুর একটা সীমা থাকা দরকার। কিন্তু সকলে, বিশেষ করে অন্ধকার জগতের মানুষ হামেশাই সেই সীমা লঙ্ঘন করে। ফলে ভোগ করতে হয় দুর্ভোগ – সম্প্রতি যা ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। মহারাষ্ট্রের কুখ্যাত গ্যাঙষ্টার হর্ষদ পাটাঙ্কার। তিনি দীর্ঘ দিন ছিলেন জেলে। কিন্তু জেল থেকে ছাড়া পেয়েও পুরো মুক্তি পেলেন না। আবার যেতে হলো জেলে।
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আহ্লাদে আটখানা হওয়াই কাল হল মহারাষ্ট্রের গ্যাংস্টারের। জেলমুক্তির আনন্দে বিরাট সেলিব্রেশন ব়্যালি করেছিলেন তিনি। নাসিকের হর্ষদ পাটাঙ্কারের বিরুদ্ধে অভিযোগ নানা। মাদক পাচার থেকে খুন, জখম, রাহাজানি, হিংসা- অপরাধ জগতের বহু কাণ্ডের সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়েছে। আর সেই কারণেই যেতে হয়েছিল জেলে। ২৩ জুলাই শ্রীঘর থেকে বেরতেই সেখানে হাজির হন তাঁর বহু অনুরাগী।
অনুগামীরা উল্লাস ধরে রাখতে পারে নি। কিছু তো একটা করতে হবে! ব্যাস, শুরু হয়ে গেলো মিছিল। শুরু হয় মেগা ব়্যালি। দেখা যায় ১৫টি বাইক সারি বেঁধে চলেছে লাইন দিয়ে। আর হর্ষদ রয়েছেন গাড়িতে। রাস্তা জুড়ে চলেছে সেই ব়্যালি। বেথেল নগর থেকে আম্বেদকার চক পর্যন্ত যায় গাড়ির সারি। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয় সাধারণ জনতার। বিপর্যস্ত হয় যান চলাচলও।
এখানেই শেষ নয়, সেই ভিডিও থেকে রিল বানিয়ে সোশাল মিডিয়াতেও আপলোড করে দেন হর্ষদের শাগরেদরা। লিখে দেন ‘প্রত্যাবর্তন’। আর এতেই বাধলো গোল। রাতারাতি ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিও পুলিশের নজরে পড়ে। এর পরই ফের গ্রেপ্তার করা হয় হর্ষদকে। সেই সঙ্গে তাঁর আরও ৬ স্যাঙাৎকেও পাকড়াও করেছে পুলিশ। অভিযোগ, অননুমোদিত সমাবেশ এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি।