একে পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বেহালা দশা সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলি।

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: সুন্দরবন :: একে পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বেহালা দশা সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলি। একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে সাগরে মুড়িগঙ্গা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মন্দিরতলা কুন্তলা জুনিয়ার বেসিক প্রাথমিক বিদ্যালয়।

প্রাকৃতিক বিপর্যয় এর জেরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ জায়গায় ভগ্নপ্রায় দশা। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে উড়েছে স্কুলের ছাদ। ইতিমধ্যেই রাজ্যে কমেছে করোনার প্রকোপ।

করোনা পরিস্থিতির জেরে ২০২০ সালের মার্চ থেকে বন্ধ ছিল রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ। দফায় দফায় নানা নিয়মবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাংশ খোলা হলেও, ছোটদের ক্লাসে যাওয়া বন্ধই ছিল। তবে ২০২২ এর ফেব্রুয়ারিতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ক্লাসরুম খোলা হলেও ‘পাড়ার শিক্ষালয়ে’ পড়াশোনা চলছিল প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত।

যদিও মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী বারবার জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে দ্রুতই খোলা হবে স্কুল। সরস্বতী পুজোর পরই যে তা হবে, সেই ইঙ্গিতও ছিল। এবারের নির্দেশিকায় সেই ইঙ্গিত মিলল। সরস্বতী পুজোর পরের সপ্তাহেই খুলছে ছোটদের স্কুল। কড়া করোনাবিধি মেনেই চলতে হবে স্কুল ছাত্রছাত্রীদের। মঙ্গলবারের মধ্যে স্কুলশিক্ষা দপ্তর প্রয়োজনীয় গাইডলাইন পাঠাবে স্কুলগুলিতে।রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে আগামীকাল থেকে ৫০% ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে খুলছে রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলি। রাজ্য সরকারের নির্দেশ পাওয়ার পর সুন্দরবনের বেশকিছু প্রান্তিক এলাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সংস্কারের কাজ চালানো হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে স্কুল না চলার কারণ ব্ল্যাকবোর্ডের জমেছে ধুলোর চাদর। বেহাল অবস্থায় রয়েছে স্কুলের বেঞ্চ থেকে পানীয় জলের কল।

রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা আসার পর, রাজ্যের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগী হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ চলছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ সংস্কার ও ক্লাসরুম গুলির স্যানিটাইজ করার কাজ। কুন্তলা জুনিয়ার বেসিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জানান, রাজ্য সরকারের নির্দেশ আসার পর দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগী হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

আগামীকাল থেকে যে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের আসবে তাদেরকে অবশ্যই মাস্ক নিয়ে আসতে হবে, মাস্ক না নিয়ে এলে ও স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের মাস্ক প্রদান করা হবে। প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় ক্লাস রুম স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। বহুদিন পর স্কুল খোলার নির্দেশে খুশি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অভিভাবকেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 6 =