সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ডায়মন্ড হারবার :: মঙ্গলবার ১৫,এপ্রিল :: চোখের নিমিষে ধান কেটে ঝাড়াই হয়ে যাচ্ছে। মাত্র কয়েক মিনিটেই ধান মাথায় ও টোটো গাড়ি করে মাঠ থেকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন কৃষকেরা। খরচ সামান্য। আমন ধান কাটার মরশুমে শ্রমিকদের ঘাটতি পূরণে মাঠে মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই আধুনিক কৃষি যন্ত্র।
এখনও দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলাতে তেমন ভাবে প্রচলন হয়নি এই আধুনিক কৃষি যন্ত্রের। তবে ব্যাপক হারে কৃষি শ্রমিকের সমস্যা দেখা দেওয়ায় চলতি মরশুমে চাহিদা বাড়ছে এই কৃষি যন্ত্রের। কারণ মাত্র কয়েক মিনিটেই জমির ধান কাটা থেকে ঝাড়াই সমস্ত কিছু হয়ে যাচ্ছে।
কৃষকদের সময় বাঁচছে,পাশাপাশি দ্রুত জমি থেকে ধান উঠে যাওয়ায় পরবর্তী ফসল চাষের জন্য দ্রুত জমি তৈরি করতে পারছেন কৃষকেরা।
ডায়মন্ড হারবার এক নম্বর ব্লকের বাসুল ডাঙ্গা অঞ্চলের চাঁদা গ্রামের কৃষক অজয় মিস্ত্রি বলেন, ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। আবার শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে খরচ বেশি পড়ছে সময় বেশি লাগছে। যন্ত্রে ধান কাটতে সময় খুবই কম লাগছে। প্রায় ২০ মিনিটে আমার এক বিঘা জমির ধান কেটে দিয়েছে। খরচ কম,আমাদের লাভও হচ্ছে।
বিগত কয়েক বছর ধরেই আমন মরশুমে ধান কাটার শ্রমিকের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে শ্রমিক না মেলায় ধান কাটতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল কৃষকদের। এমনকি শ্রমিক দিয়ে ধান কাটায় খরচ বেশি হচ্ছে।
বর্তমানে ধান কাটার দক্ষ শ্রমিকের সমস্যা প্রায় গোটা জেলা জুড়ে। আবার শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে গিয়ে অনেকটাই সময় সাপেক্ষ ছিল।
এই সমস্ত সমস্যার সমাধান করতেই কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে আধুনিক ধান কাটার যন্ত্র জেলাতেও ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে কৃষকদের অনেকেই নিজেদের উদ্যোগেও আধুনিক ধান কাটার কৃষি যন্ত্র ব্যবহার করছেন।
যন্ত্রের চালক দীপঙ্কর বলেন, জমি ভাল থাকলে পনেরো থেকে ২০ মিনিটে এক বিঘা জমির ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে।
গত কয়েক বছর ধরে এই মেশিন দিয়ে ধান কাটছি বিভিন্ন মাঠে। এবছর চাহিদা বেড়েছে মেশিনের। কিন্তু মাঝে মধ্যেই কিছু চাষির সঙ্গে সময়ের হেরফেরে জন্য কথা কাটাকাটি হচ্ছে। সকলে তো আর বোঝে না মাঠের ধান গাছ দাঁড়িয়ে থাকলে এবং মাটি শক্ত থাকলে সঠিক সময়ের মধ্যে কাটা সম্ভব হয়।
যন্ত্রের কর্মচারীও জানান যখন ধান শুয়ে পড়ে এবং মাটি নরম তখনি সময় একটু বেশি লাগে,কিছু চাষি বোঝেনা তখনি তাদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। বেশির ভাগ চাষীরা এই যন্ত্রে ধান কেটে খুশি।