নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বোলপুর :: এবছরও সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ থাকছে শান্তিনিকেতনে, “বসন্ত উৎসব”। সম্প্রতি বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ফুটেজে তার মুখে বসন্ত উৎসব নিয়ে এমনই সিদ্ধান্তের কথা সামনে এসেছে। আর উপাচার্যের এমন মন্তব্য ঘিরে ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতী আধিকারিক, অধ্যাপক, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, কর্মী মন্ডলীর সদস্যদের নিয়ে অনলাইনে একটি বৈঠক করেন উপাচার্য। সেই বৈঠকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বসন্ত উৎসব প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সেই ভিডিও বার্তায় উপাচার্যকে বলতে শোনা যাচ্ছে,আমরা বসন্ত উৎসব আয়োজন করবো।
তবে আগে যেভাবে হতো সেই ভাবে নয়। বরং গত বছর যে ভাবে হয়েছিল সেই ভাবেই পালন করা হবে। বিশ্বভারতীর সমস্ত প্রথা আমরা যেভাবে পালন করে এসেছি সেভাবেই বসন্ত উৎসব পালন করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। প্রসঙ্গত করোনা সংক্রমণে কারণে গত বছর রুদ্ধদ্বার বসন্ত উৎসব পালিত হয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
অল্প সংখ্যক ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক, আধিকারিক ছাড়া সেই অনুষ্ঠানে সর্বসাধারণের প্রবেশ ছিল না। যা নিয়ে গতবার নিন্দায় সরব হয়েছিলেন আশ্রমিক থেকে শুরু করে প্রাক্তনীরা। সকলে ভেবেছিলেন করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় এবার অন্তত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সমারোহে বসন্ত উৎসব পালন করবে। তাতে সর্বসাধারণের প্রবেশও থাকবে।
কিন্তু বসন্ত উৎসবের আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া উপাচার্যের এই মন্তব্যে যেন সব আশায় জল ঢেলে দিয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় মানুষজন। একইসঙ্গে উপাচার্য আরও মন্তব্য করেছেন, হোলির দিন বসন্ত উৎসব পালন করব না। কারণ রাজ্য পুলিশ আমাদের সাহায্য করতে ইচ্ছুক নয়। তাই তাদের উপর নির্ভর করে আমরা বসন্ত উৎসব আয়োজন করবো না।
বসন্ত উৎসব বিশ্বভারতী পরিবারের অনুষ্ঠান সেটা আমরা নিজেদের মতো করে করব, এটা কখনোই আমজনতার অনুষ্ঠান ছিল না। এই মন্তব্যের ফলে দূরদূরান্ত থেকে শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব দেখতে আসা পর্যটকদের এবারও নিরাশ হয়েই ফিরতে হবে বলে মনে করছে বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে প্রাক্তনীরা।
এমনকি বসন্ত উৎসবকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের যে বেচাকেনা হয়, এবার বসন্ত উৎসব সেইভাবে না হলে সেই বেচাকেনাও হবে না বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।