নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বাঁকুড়া :: দীর্ঘ ধারাবাহিকতা মেনে এবারও বিজয়া দশমীতে জয়পুরের বৈতল গ্রামে ঝগড়ভঞ্জনী দুর্গা মন্দিরের সামনে ‘কাদা খেলা’ অনুষ্ঠিত হলো। এলাকার আট থেকে আশি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই অংশ নিলেন ব্যতিক্রমী এই আনন্দোৎসবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঐ এলাকার সাতটি পুকুরের জল দিয়ে মন্দিরের সামনে পুকুর তৈরী করা হয়। তারপর বিজয়া দশমীর সকাল থেকে জলে ‘কাদা খেলা’। এলাকায় প্রচলিত জনশ্রুতিটি হলো, বিষ্ণুপুরের রাজপরিবারের একটা অংশ বর্ধমানের রাজা কিনে নিয়েছেন। এই নিয়ে মামলা চলছে। বিষ্ণুপুরের রাজা দ্বিতীয় রঘুনাথ সিংহ যাচ্ছেন বর্ধমান। তাঁর যাওয়ার পথেই ঝগড়াই চণ্ডীর মন্দির।
রাজা মন্দিরে প্রণাম সেরে বেরিয়ে দেখেন সামনের বিশাল বটের নীচে একটি ছোট্ট মেয়ে একা কাদামাটি নিয়ে খেলা করছে। তার সারা গায়ে কাদাজল। রাজাকে দেখেই বালিকা বলে, ‘আয় খেলবি আয়।’ কিন্তু রাজা বলেন, ‘অনেক কাজ, সেই বর্ধমান যেতে হবে মামলা লড়তে।’
– মোটে চিন্তা করিস না, জিতে যাবি। আধো আধো স্বরে বলে সেই ছোট্ট মেয়েটি।
– যদি জিতি ফেরার সময় খেলা করবো তোর সাথে। এই বলে রাজা তাঁর গন্তব্যে রওনা হন।
রাজা সেই মামলায় জেতেন এবং ফেরার সময় সেপাই-সান্ত্রী নিয়ে কাদা খেলেন মন্দির চত্ত্বরে। আর সেই থেকে প্রতিবছর বিজয়ার দিন অনুষ্ঠিত হয় কাদাখেলা।