এবার বাঁকুড়ার ছাতনার এমন একটা জায়গার কথা বলব যেখানে আপনি করতে পারবেন বোটিং। চাইলে করতে পারবেন আপনার প্রি ওয়েডিং ফটোশুট।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বাঁকুড়া :: শুক্রবার ২৫,এপ্রিল :: এবার বাঁকুড়ার ছাতনার এমন একটা জায়গার কথা বলব যেখানে আপনি করতে পারবেন বোটিং। চাইলে করতে পারবেন আপনার প্রি ওয়েডিং ফটোশুট।

এছাড়াও পেয়ে যাবেন ৩৪ রকমের আম। সূর্যমুখী ফুল, টিয়া পাখি, কাঁঠাল এবং আরও কত কিছু। যেন সাক্ষাৎ স্বর্গবাস। প্রায় ৭০০ বিঘা জায়গা নিয়ে সরকারি প্রকল্পের এই কাজ আপনার নজর কাড়বেই কাড়বে।

চিয়াং মাই, রেড আইভরি, আপেল ম্যাঙ্গো এবং বানানা ম্যাঙ্গো। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত এই আমের প্রজাতি গুলি বাঁকুড়ার  কাঁকুরে  সামন্তভূম ছাতনায় উৎপাদিত হতে পারে সেটা কেউই ভাবতে পারেনি। রাজ্য সরকার পরিকল্পিত সাতটি প্রকল্প রয়েছে ছাতনায়।

এই সাত প্রকল্পের মধ্যে একটি হল ছাতনা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জনার্দনপুরের “মাটির সৃষ্টি” প্রকল্প। যে প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হয়েছিল কৃষ্ণনগর থেকে বিদেশী আম চারা নিয়ে এসে টবে বসিয়ে।

গত বছর মিরাকেলের মতই চারটি চারাই দিয়েছে খুব সুন্দর ফলন। ৬০০-৬৫০ গ্রামের আপেল ম্যাঙ্গো, ৮০০-৯০০ গ্রামের রেড আইভরি। তবে এই আম গাছ গুলি লাগানো রয়েছে টবে ফলেই আম নয়! পরবর্তীকালে এই চারা বাঁকুড়ার চাষীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

শুধুমাত্র আম্রপালি নয়! অন্যান্য আরও আম চাষে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে বাঁকুড়া । ছাতনার কাঁকুরে মাটিতে পরীক্ষিত হল এই চার চারা। এবার সঠিক চারা পোঁছে দেওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।

মাদার প্ল্যান্ট যেগুলি রয়েছে, সেগুলিকে সাবধানতার সঙ্গে রাখতে হয়েছে যাতে বাঁদরে ক্ষতি না করতে পারে। পরিচর্যাও অন্যান্য আমের মতই করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন, জনার্দনপুর “মাটির সৃষ্টি” প্রকল্পের সেক্রেটারি শংকর চক্রবর্তী।

বিগত কয়েক দশকের মধ্যেই পাল্টে গেছে চিত্র। মুর্শিদাবাদ মালদার সঙ্গে আম উৎপাদনে উঠে আসছে বাঁকুড়ার নাম। তবে আম্রপালি এবং মল্লিকা উৎপাদনে একচেটিয়া শাসন করছে বাঁকুড়া। শুধু তাই নয় অন্যান্য বিদেশি প্রজাতিও চাষ করা হচ্ছে বাঁকুড়ার ছাতনার মত বন্ধুর এলাকাতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 11 =