সজল দাশগুপ্ত :: সংবাদ প্রবাহ :: নিউজ ডেস্ক কোলকাতা :: মঙ্গলবার ১৭,জুন :: ২০২৫ সালের ১২ জুন আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ফ্লাইট AI-171-এর বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ২৭৯ জনের মৃত্যু হয়, যার মধ্যে ২৪২ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। এটি ভারতের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
🛠️ ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার ও প্রাথমিক তথ্য
দুর্ঘটনার ২৮ ঘণ্টার মধ্যে ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR) উদ্ধার করা হয়। পরে, ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR) উদ্ধার করা হয়, যা দুর্ঘটনার শেষ ৩৬ সেকেন্ডের ভয়েস রেকর্ড ধারণ করে। এই রেকর্ডে পাইলটদের “মেডে, মেডে পাওয়ার নেই” বলে সংকেত পাঠানোর তথ্য পাওয়া গেছে, যা ইঞ্জিনের শক্তি হারানোর ইঙ্গিত দেয় ।
ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (AAIB) এবং আন্তর্জাতিক সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের NTSB, যুক্তরাজ্যের AAIB, এবং বোয়িংয়ের প্রতিনিধিরা তদন্তে অংশ নিচ্ছেন। তদন্তের অংশ হিসেবে পাইলটদের প্রশিক্ষণ, বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ ইতিহাস, এবং ফ্লাইট রেকর্ড বিশ্লেষণ করা হচ্ছে ।
প্রাথমিক তদন্তে ইঞ্জিনের শক্তি হারানো বা উইং ফ্ল্যাপ ও ল্যান্ডিং গিয়ারের সমস্যা সম্পর্কিত সম্ভাবনা উঠে এসেছে। তবে, দুর্ঘটনার সঠিক কারণ নির্ধারণে আরও সময় লাগবে ।
এটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের প্রথম বিধ্বস্ত হওয়া ঘটনা। এয়ার ইন্ডিয়া তাদের বাকি ৩৩টি ড্রিমলাইনারে অতিরিক্ত নিরাপত্তা পরীক্ষা চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। ভারত সরকার তিন মাসের মধ্যে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশের পরিকল্পনা করেছে ।
ভিশ্বাশ কুমার রামেশ, ৪০, ফ্লাইট AI-171-এর একমাত্র বেঁচে থাকা যাত্রী। তিনি এক্সিট রো ১১এ-তে বসেছিলেন, যা তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়াতে সাহায্য করেছে ।