করণাবিধি কাটিয়ে এ বছর মায়ের ভোগের জন্য ১৪ কুইন্টাল পুষ্পান্নর ব্যবস্থা করলো পুজো কমিটি ।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নদিয়া :: আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগে তন্ত্রসার গ্রন্থে প্রকল্প কর্তা পন্ডিত কৃষ্ণানন্দ আগম বাগিচের বংশধর প্রপুত্র শান্তিপুরে তার আরাধ্যা দেবী মহাকালীর প্রতিষ্ঠা করেন। আগমবাগিচের প্রতিষ্ঠিত বলেই তার নাম অনুসারে মায়ের নাম হয় আগমেশ্বরী। তিনি ধ্যানযোগে মায়ের যে রূপ দেখেছিলেন সেইটি ফুটিয়ে তোলেন আগমেশ্বরীর মধ্যে ।

প্রতি বছর বিজয়া দশমীতে এই পুজোর সূচনা করা হয়। পুজোর আগের দিন থেকে মায়ের গায়ে খড়িমাটি করা হয় ও পুজোর দিন সকাল থেকে রঙের কাজ শুরু হয় একদম শেষে পুজোর শুরুর মুহূর্তে চক্ষুদান করে মায়ের গায়ে সোনা ও রুপোর অলংকারে অলংকিত করা হয় , এরপরই শুরু হয় পুজো।

দু বছর করোনা আবহের কারণে মায়ের ভোগের আয়োজন করা হয়নি। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতেই এ বছর পূজো উদ্যোক্তারা জানান ১৪ কুইন্টাল পুষ্পান্নের আয়োজন করা হয় মায়ের ভোগের। এই প্রতিমার উচ্চতা প্রায় ২০ ফুট । এই পুজো দেখতে ভিড় জমান বহুদূরান্তের মানুষ। পুজোর পরের দিন প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয় সে দৃশ্য দেখতে গোটা শান্তিপুরের শহরের রাস্তার দু’পাশে উপচে পড়ে মানুষের ঢল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 + 9 =