করোনার গ্রাস মুক্ত হয়ে দক্ষিন ২৪ পরগনার রং আর আবিরের ব্যবসা এবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে

সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: বারুইপুর :: মাত্র হাতে দুদিনের অপেক্ষা। তাই বসন্ত উৎসবের প্রস্তুতি এখন চলছে জোড় কদমে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দির বাজারে আচনা গ্রামে না খাওয়া ভুলে আবির তৈরিতে ব্যস্ত আবির কারখানার শ্রমিকেরা। গত দু’বছর দোল- হোলির আনন্দ ভুলিয়ে দিয়েছে করোনা।

করোনার জেরে ব্যবসাতে আর্থিক ধাক্কা খেয়েছে আবির ব্যবসায়ীরা। অবশেষে করোনার পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হতে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা আবির ব্যবসা।

প্রতিবছর দোল ও হোলিতে আবিরের রঙেয়েই রঙিন ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত। কিন্তু গত দু’বছরে বদলে গিয়েছে ছবি। কার্যত বে-রঙিন হয়ে উঠেছে জেলার আবির ব্যবসায়ীদের জীবন। কারণ করোনাকালের সেভাবে হয়নি রং খেলা।

তবে এবার করোনার দাপট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসায় ফের চাহিদা বেড়েছে আবিরের। কার্যত সেই আবির এর বিপুল চাহিদা মেটাতে দিনরাত এক করে কাজ করছে আবির কারখানার শ্রমিকেরা।

আগামী ১৮ মার্চ দোল উৎসব। জোর কদমে আবির তৈরীর কাজ চলছে পাশাপাশি রং এর তুলনায় আবিরের অনেকটাই চাহিদা বেড়েছে। তাই বিলম্ব করার সময় নেই। মন্দিরবাজারে আচনা গ্রামে এখন চরম ব্যস্ততা। আবীর প্রস্তুতকারী কৃষ্ণেন্দু পুরকাইত জানান, দু’বছর করোনার জেরে ব্যবসা খুবই খারাপ।

তেমনভাবে কোন অর্ডার আসেনি। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই এ বছর আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে ব্যবসা। ইতিমধ্যেই কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় থেকে এসেছে অর্ডার।

দিনরাত এক করে কাজ চলছে। রং এর তুলনায় আবির এর চাহিদা অনেক বেশি। রঙে মানুষের ত্বকের অনেক সমস্যা হয়। কিন্তু আমাদের এই আবির ব্যবহার করলে ত্বকের কোনো সমস্যা হয় না। আমরা এখানে মোট সাতটি রংয়ের আমি তৈরি করি। মাত্র কয়েকটা মাসেরই ব্যবসা। বসন্ত উৎসব শেষ হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যাবে আবির তৈরীর কাজ আবার আমরা চাষবাসে ফিরে যাব।

এদিকে জমে উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার রঙের বাজার। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিভিন্ন বাজারগুলিতে রংয়ের রঙিন পসর সাজিয়ে বসেছে ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত দু’বছর তেমন ব্যবসা হয়নি। বড়োসড়ো ব্যবসায় লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়েছে।

এবছর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই আবার পসরা সাজিয়ে বসেছে। মানুষের মধ্যে রং এর তুলনায় আবিরের চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে।

কিন্তু আবিরের দাম প্রায় আকাশ ছুঁয়েছে। গত দুবছর আগে যে আবির ৭-১০ টাকা শয়ে বিক্রি হতো সেই আবির ১২-১৫ টাকা। কয়েকদিনে ব্যবসা বাড়বে , শুরু থেকেই চাহিদা আছে। সব মিলিয়ে গত দু’বছরের ক্ষতির কাটা ঘায়ে কিছুটা মলম লাগাতে ব্যস্ত আবির প্রস্তুতকারী থেকে আবির ব্যবসায়ীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *