নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: কোলকাতা :: বুধবার ৩০,এপ্রিল :: মেছুয়ার ফলপট্টির এক হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কলকাতার বড়বাজারে হোটেলে বিধ্বংসী আগুন। মৃত ১৪ ঘটনায় ১৪ জনের মৃত্যু হল। মৃতের তালিকায় রয়েছে দুই শিশুও।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের পরই আনন্দ পাসোয়ান নামে এক জন আগুন থেকে নিজেকে বাঁচাতে উপর থেকে ঝাঁপ দেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় ১৩ জনের দেহ।
সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ এদের মধ্যে ২ জন শিশু, একজন মহিলা এবং ১১ জন পুরুষ। এদের মধ্যে আটজনের পরিচয় জানা গেছে। তবে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে।
তখন আগুনের লেলিহান শিখার গ্রাসে হোটেলটি। গলগল করে বেরচ্ছে দমবন্ধ করা কালো ধোঁয়া। বাইরে তখন হুলুস্থুল । প্রাণ বাঁচাতে ঝাঁপ মেরে মারা গিয়েছেন একজন।
এদিকে হোটেলের একটি ঘরে তখন তা কিছু বুঝতে পারেনি দুই শিশু ও তাদের দাদু। বাবা-মা গিয়েছিলেন বাইরে খাবার কিনতে। শেষে যখন তিনজনকে উদ্ধার করা হল, দেহে প্রাণ নেই।
মঙ্গলবার সন্ধে নাগাদ হোটেলেটিতে আগুন লাগে। দ্রুত হোটেলের প্রতিটি ফ্লোরকে গ্রাস করে নেয় আগুনেল লেলিহান শিখা। আটকে পডেন বহু আবাসিক। হোটেলটিতে তখন ৪২ জন আবাসিক ছিল বলে জানা গেছে আতঙ্কে অনেকেই সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুরু করেন।
অনেকে ছাদেও উঠে যান। পরে দমকল তাঁদের উদ্ধার করে। উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারাও। জানা গেছে, আগুন আর প্রবল ধোঁয়ার জেরে কার্যত হোটেলটি ‘গ্যাসচেম্বার’-এ পরিণত হয়। যার ফলে দমকল কর্মীরা ঢুকতে পারছিলেন না।
তাঁরা মই দিয়ে চার ও পাঁচ তলার ঘরের জানলা ভেঙে প্রবেশ করেন। ততক্ষণে অনেকেরই শ্বাসকষ্টের জেরে মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, অন্তত ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ঘরগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে একে একে ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
মঙ্গলবার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা দমকল ও পুলিশ খতিয়ে দেখবে। এফআইআর হবে। ঘটনার তদন্ত হবে।”
কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানিয়েছেন ইতিমধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ, বুধবার ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা রয়েছে ফরেন্সিক দলের। তারা পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখবে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে মুখ্যমন্ত্রী দিঘা থেকে আজ বিকালে সোজা ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছেন ।