নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কাঁথি :: কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজে তদন্ত সহ অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করল কাঁথি থানার পুলিশ। কলেজের নানা বিল্ডিং পরিদর্শন, মাপজোক ও বিভিন্ন বিল্ডিং এর প্ল্যান সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কাঁথি থানার পুলিশ খতিয়ে দেখে।
২০১৭- ২০২০ সালের মধ্যে কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের বিল্ডিং এর কাজের আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে বলে আগেই অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী কাঁথি পি কে কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ছিলেন। গত ১লা ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের আইনজীবী আবু সোহেল সেই আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে কাঁথি থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন।
এই আইনজীবীর অভিযোগগুলি ছিল- প্রায় তিন থেকে চার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে এবং টেন্ডার ছাড়াই বিল্ডিং করা হয়েছে কাঁথি কলেজে। ইচ্ছে মত ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। এমন কি, কোন প্ল্যান অনুমোদন ছাড়াই কলেজ বিল্ডিং তৈরি হয়েছে।
এইসব অভিযোগ তুলে এই আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সেই মামলার শুনানি হয়। হাইকোর্টে সেই রিট পিটিশনটি খারিজ হয়ে গেলেও আদালত আবেদনকারী আইনজীবীকে কাঁথি মহকুমা আদালতে আবেদন করতে বলেন।
সেই মতো কাঁথি মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত প্রধান বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে আবেদন জানান তিনি। কাঁথি আদালত এরপর কাঁথি থানার আইসি-কে নির্দেশ দেন এই অভিযোগ অনুযায়ী এফআইআর করে তদন্ত শুরু করতে হবে। তদন্ত কতদূর এগোলো সে নিয়ে একটি রিপোর্টও কাঁথি আদালতে পুলিশকে জমা দিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর তড়িঘড়ি সৌমেন্দু অধিকারী এই তদন্তের স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন। কাঁথি পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট ফের তদন্তের অনুমোদন দেয়। সেই অনুযায়ী কাঁথি থানার পুলিশ এদিন কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সেই সময়কার নানা-নথিপত্র এদিন পুলিশ খতিয়ে দেখে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী এই দুর্নীতির সঙ্গে তৎকালীন পুরপ্রধান তথা কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি সৌমেন্দু অধিকারী যুক্ত কিনা সে নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। আবার কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের বিল্ডিং সংক্রান্ত আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ কতটা সত্যি কিংবা এর পেছনে আর কারো হাত আছে কিনা, সেই বিষয়টিও বিশদে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।