সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: বারুইপুর :: বৃহস্পতিবার ২,জানুয়ারি :: পয়লা জানুয়ারি রাজ্য তথা দেশজুড়ে নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ইংরেজি ক্যালেন্ডার এর নতুন বছরকে স্বাগত জানায় মানুষজন । এরই পাশাপাশি এদিন কল্পতরু উৎসবে মেতে ওঠেন গোটা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার মানুষজন ।
আর এই কল্পতরু উৎসবে নিজেদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করার লক্ষ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের মদাররাট গ্রাম পঞ্চায়েতের মধুবন টগরবেড়িয়া জগৎ বিশালক্ষী মায়ের মন্দিরে কয়েক হাজার ভক্তদের সমাগম হয় । এই মন্দির নিয়ে জড়িয়ে রয়েছে নানান কল্পকথা এবং নানান ইতিহাস।
আজ থেকে আনুমানিক ৬০ থেকে ৭০ বছর আগে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। তৎকালীন সময়ে ঘন জঙ্গলে ঢাকা থাকতো গোটা এলাকা । হিংস্র জীবজন্তুর ভয় ছিল। এছাড়াও ডাকাতের ভয় ছিল। কথিত আছে এই মন্দিরে পুজো দিয়ে এলাকায় ডাকাতি করতে যেত ডাকাতরা। ডাকাতির পর এই মন্দিরে ফিরে সেই ডাকাতি করা জিনিসপত্রের ভাগ বাটারা করত তারা। ডাকাতি করার কিছু অংশও এই মন্দিরে মায়ের কাছে সমর্পিত করত তারা ।
এছাড়াও এই মন্দির ঘিরে থাকতো প্রচুর বিষধর সাপ । এই মন্দিরে আসা ভক্তদের সামনে বিষধর সাপ দেখা দিত কিন্তু তাদের কামড়ে কোন ভক্তের মৃত্যু হয়নি কখনো। বছরের প্রথম দিন কল্পতরু উৎসবে এই মন্দিরে চলে বিশেষ পুজো অর্চনা। পুজো দিতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার ভক্তরা এই মন্দিরে ভিড় জমান।
কুইন্টাল কুইন্টাল বাতাসার হরিলুট দেওয়ার প্রচলন রয়েছে এই মন্দিরে। এই মন্দিরে আসা ভক্তরা জানান বিশালক্ষী মা সকলের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন। রোগব্যাধি থেকে শুরু করে নানান সাংসারিক ঝামেলা থেকে মুক্ত করে এই জগৎ বিশালক্ষী মা।