নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কোলকাতা :: ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে ক্লাবের সদস্যদের হাতেই শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন এক তরুণী। ফুলবাগান থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, উত্তর কলকাতার কাঁকুড়গাছি যুবকবৃন্দের পুজো দেখতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটে। যদিও সমস্ত দাবি অস্বীকার করে থানায় পালটা অভিযোগ জানিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষও।
প্রতিকী চিত্র
সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ক্লাবের অন্যতম পুজো উদ্যোক্তা অর্পণ ভট্টাচার্যের পালটা অভিযোগ, তিনজনই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। আর তাছাড়া ক্লাবে সবই অল্প বয়সি বাচ্চারাই স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় ছিল। তাই শ্লীলতাহানির অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। আর এমনিতেই প্রতিটা পুজো প্যান্ডেলের বাইরে পুলিশ মোতায়েন থাকে। যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে নিশ্চয়ই তা পুলিশের চোখে পড়ত। কিন্তু তেমন কোনও বিষয়ও ক্লাবের কানে আসেনি। তাঁর আরও অভিযোগ, ওই এলাকায় ফ্ল্যাট কেনা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে পুজোর মধ্যে। যেখানে অকারণে পুজোর নাম টেনে আনা হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, ফেসবুকে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় , কলকাতা পুলিশ এবং ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের উদ্দেশে দীর্ঘ একটি পোস্ট করেছে কাঁকুড়গাছি যুবকবৃন্দ। তাঁদের অভিযোগ, ষষ্ঠীর রাত থেকে তাদের পুজো প্রাঙ্গনে ক্রমাগত আশপাশের এলাকার কিছু দুষ্কৃতী আক্রমণ করছে। ব্যানার, হোর্ডিং ভেঙে ফেলা হচ্ছে দর্শনার্থীদের উত্যক্তও করা হচ্ছে। মদ্যপ অবস্থায় পুজো প্রাঙ্গনে অসভ্যতা করা হয়েছে।